মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ নে নওগাঁ-২ পতœীতলা ও ধামইরহাট) আসনের স্ব তন্ত্র প্রা র্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক (৭৬) মারা গেছেন।

শুক্রবার ভোরে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকি ৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আমিনুল হক ২০০৬ সালে নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন।

তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।

এছাড়া তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের একা ধিকবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তিনি ধামইরহাট উপজেলার লক্ষনপাড়া গ্রামের মৃত নুর মোহা ম্ম দের ছেলে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হকের ছেলে আছি ফুল হক বলেন, আমিনুল হক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত সোমবার ঢাকায় যান।

ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন সমস্যা, হৃদ রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বিকেলে তার মরদেহ নওগাঁর নজিপুরে পৌঁছাতে পারে। পরে রাতে অথবা

পরদিন সকালে আমাদের পারিবাবিক কবোরস্থান ধামই রহাট উপজেলার লক্ষনপাড়ায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হতে পারে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে চেয়ে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়নপ ত্রে বিভিন্ন অসঙ্গগতি তুলে ধরে তাঁর প্রার্থীতা বাতিল করে দেয়।

পরবর্তীতে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট
করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত বুধবার তাঁর বাবার
প্রার্থীতা বৈধ বলে রায় দেন এবং বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় প্রতীক বরাদ্দ দেও য়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ

পাওয়ার পরদিনই তাঁর মৃত্যু হলো। এ আসনে বীর মুক্তি যোদ্ধা আমিনুল হক ছাড়াও তিনজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।

তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম আখতারুল আলম।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে তার প্রার্থীতা ফিরে পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছিলেন। তার মৃত্যু সনদ আমার হাতে আসার পর নির্বাচন কমিশনের সাথে আলাপ-আলোচনা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *