স্টাফ রিপোর্টার, পুঠিয়া (রাজশাহী) ঃ পুঠিয়ায় আইন প্রয়োগ করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছে না বলে উপজেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিকে রাতের আধাঁরে পুকু র খনন কর ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা।

বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে গেলে উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালি য়ে যাচ্ছে এসব অবৈধ পুকুর খননকারীরা।

এতে উপজেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ কর তে বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন নিয়মিত মামলা না করায় অবৈধ পুকুর খননকারিদের আই নের ফাঁকফোঁকড় দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে ছে।

দিন দিন এসব অবৈধ পুকুর খননকারিদের দৌরাতœ্যবৃদ্ধি পাওয়ায় অসহায় হয়ে পরেছে ফসলি জমির মালিকেরা।

পুঠিয়া উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে পুকুর খননের সব চেয়ে পছন্দের তালিকায় রয়েছে শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন।

এযাবত যতগুলো পুকুর খনন করা হয়েছে তার বেশির ভাগই খনন হয়েছে এই ইউনিয়নে।

এভাবে চলতে থাকলে একসময় পুঠিয়া উপজেলায় ফসলি জমির অভাব দেখা দিবে বলে স চেতন মহলেরা জানিয়েছেন।

বাধ্য হয়ে ফসলি জমির মালিকেরা পুকুর খনন বন্ধে মানবব ন্ধন ও উপজেলা প্রশাসন ও পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকেন।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে উপজেলা শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নান্দিপাড়া বিলে ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিরুদ্ধে মানবনন্ধন করেছে উক্ত গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা। এসময় মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমাদের তিন ফসলি জমিতে জোড়পূর্বক পুকুর খনন করছে প্রভাবশালী একটি মহল।

তাদের বিরুদ্ধে কোন রূপ ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে প্রাণ নাশের
হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয় মাববন্ধ অনুষ্ঠান থেকে।

এবিষয়ে পুঠিয়া উপ জেলা নির্বাহী অফিসার নূর হোসেন নির্ঝর জানান, আইন প্রয়োগ করে পুকুর খনন বন্ধ করা যাচ্ছেনা।

এর জন্য দরকার জনসচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা।

সবাই সচেতন হলেই পুকুর খনন বন্ধ করা সম্ভব বলে এ কর্মকর্তা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *