তানোর((রাজশাহী))প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে বসতে আনতে প্রতিপক্ষ থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) দুবইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দুবই ল গ্রামের বাসিন্দা মৃত মহির মন্ডলের পুত্র ও দুবইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র মোস্তফা কামাল ডাম্ফুর দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে।
জানা গেছে, দুবইল উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে ডাম্ফুর আখখেত। নির্মান শ্রমিকেরা প্রতিদিন সেই আখখেত থেকে আখ চুরি করে খাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে ডাম্ফু শ্রমিক সুমন আলীকে চড়থাপ্পড় দেয়। অথচ এই তুচ্ছ ঘটনাকে অতিউৎসাহী হয়ে। ফুলিয়ে ফাপিয়ে বড় করে প্রচার করেন প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম।
এমনকি এদিন রবি উল ইসলাম নিজেই বাদি হয়ে ডাম্ফুকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার করা অভিযোগে বলা হয়েছে, আখ চুরির ঘটনায় ডাম্ফু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে শ্রমিক (টেক নিশিয়ান)
সুমন আলীকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে এলো পাতাড়ি পিটি য়ে জখম এবং ১২ হাজার টাকাসহ  মানি ব্যাগ ছিনতাই ও একটি এন্ড্রুয়েট মোবাইল ফোন ভাঙচুর করেছে।
সচেতন মহলের প্রশ্ন আখ চুরির ঘটনায় শ্রমিককে কয়েকটি চড়থাপ্পড়  মারা যদি ডাম্ফুর অপরাধ হয়। তবে ঠিকাদার বা শ্রমিক বাদি হয়ে অভিযোগ করবেন।কিন্ত্ত তারা যেখানে বাদি নয় সেখানে প্রধান শিক্ষক অতিউৎসাহী হয়ে কেনো বাদি হলেন ? ওদিকে ডাম্ফুর বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের করা অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের সাধারণ মানুষ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
স্থানীয়রা জানান, আর্থিক সুবিধা নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার ও ঘটনা ধাঁমাচাপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম মরিয়া হয়ে উঠে।
এমনকি ৬ অক্টো বর শুক্রবার সন্ধ্যায রবিউল ইসলাম নিজ উদ্যোগে আপোষ-মিমাংসার জন্য বৈঠকে বসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় শ্রমিক সুমন আলী আখখেত থেকে আখ খাওয়ার জন্য ডাম্ফুর কাছে ভুল শিকার করেন। তবে তার চিকিৎসা ও মামলার ভয় দেখিয়ে রবিউল ইসলাম প্রতিপক্ষ ডাম্ফুর কাছে থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক ডাম্ফুকে ফাঁসিয়ে টাকা হাতানোর উদ্দেশ্যেই অভি যোগ করেছিল, টাকা পাবার পর তিনি নিজেই আবার সেই অভিযোগ তুলে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ কি খেলনা যার যখন মন চাইবে তখন অভিযোগ দিয়ে পুলিশ কে হয়রানি করবে, আবার মনোবাসনা পুরুন হলে সেই অভিযোগ তুলে নিবে।
তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের করা অভিযোগ তদন্ত করা হবে এবং তদন্তে যদি প্রমাণ হয় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সাজানো অভিযোগ করা হয়েছে, তাহলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা কামাল ডাম্ফু  সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রামের কেউ তার সামনে এসে কোনো অভিযোগ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আখ চুরির ঘটনায় টেকনিশিয়ান সুমন আলীকে মৃদু চড়থাপ্পড় মারা হয়েছে, সেটা নিয়ে ৬ অক্টোবর  শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামে বসে মিমাংসা করা হয়েছে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, ডাম্ফু বিরুদ্ধে থানায় অভি যোগ করা হয়েছিল, গ্রামের শান্তির জন্য আপোষ করা হয়েছে, কোনো টাকা-পয়সা নেয়া হয়নি।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *