আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী গোদাগাড়ীর এক টি বিদ্যালয়ে যোগদানের তারিখ জালিয়াতি করে প্র ধান শিক্ষকপদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ে গত ১ আগস্ট তিনজনচতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে এসব অভিযোগ তুলে রাজশাহী জেলা প্রশা সক, দুর্নীতি দমন কমিশন, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মক র্তা  ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লি খিত অভিযোগ করেছেন  বাসুদে বপুর ইউপির কবু তরপাড়া গ্রামের কতুবুল আলম।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গোদাগাড়ী উপজেলর অভায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে সারওয়ার জাহান ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারী যোগদান করেন।
সে সময় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলো এইচএসসি পাশ। পরে সে বি.এ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১৯ ৯৮ সালের জানুয়ারী মাসে বি.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। বি.এ পরীক্ষার আগে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে পারেন না।
সহকারি প্রধান শিক্ষক সারওয়ার জাহান ১৯৯৭ সাল থেকে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে তার নিয়োগের তারিখ ১ জানুয়ারী ১৯৯৭ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া বেতন বিলে তার নিয়োগের তারিখ ১ জানুয়ারী ১৯ ৯৭ লিখা আছে।
কিছুদিন আগে থেকে সে তার নিয়োগের তারিখ জা লিয়াতি করে ৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৮ সাল লিখছে।
সে একমাত্র প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য জালিয়াতি করে তার নিয়োগের তারিখ পরিবর্তন করছে। যেহে তু সে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের পর বি.এ পাশ করেছে।
এখন যদি সে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাই তাহ লে তার বেতন নাও হতে পারে। তাই সে জালি য়াতি করে বি.এ পাশের পর তার নিয়োগ দেখাচ্ছে।
বর্তমানে সে জালিয়াতি করে বেতন বিল ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তার আসল নিয়োগ ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারীর পরিবর্তে ১৯৯৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারী ব্যব হার করছে। এসব অনিয়মের সঠিক তদন্তের জন্য ১৯৯৭ সালের শিক্ষক হাজিরা খাতা ও বি.এ পাশের সার্টিফিকেট তদন্ত করলে প্রমাণপাওয়া যাবে।
এসব বিষয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষক সার ওয়ার জাহানের সঙ্গে মুুঠো ফোনে যোগাগোর করা হলে, অভিযোগের সবকিছু শোনার পর বলেন, এখন বাসের মধ্যে আছি কোন কিছু শোনা যাচ্ছে না পরে কথা বলবো। পরে পুনরায় তার সঙ্গেযোগাযোগ করা হলে আর ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
অপর দিকে অভিযোগ উঠেছে, গত ১ আগস্ট ওই বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে তিনজনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম।
আয়া পদে সেলিনা খাতুন, নৈশ প্রহরী পদে শামীম ইসলাম ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে সায়াদকে নিয়োগ দিয়ে প্রত্যেকের কাছে ৮-১০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগে দিয়েছেন।
টাকা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচ্ছন্ন তা কর্মী সায়াদ প্রথমে টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বী কার করলেও হালকা পাতলা কিছু দিয়েছি বলে স্বী কার করে। নির্দিষ্ট পরিমান জানতে চাইলে ফোনটি কেটে দেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, তার দুই রকম যোগদানের তারিখ আছে এটা আমার জানা নেই।
আমি দেখেছি তার প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা। টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক দিয়ো গের বিষয়টি তিনি বলে এটা এক্কেবারে ভূয়া খবর।
তিনকর্মচারী পদে নিয়োগে টাকার বিষয়ে বলেন, মোটা অংকের টাকা নয় নিয়োগ দিতে যে খরচটি হয় তার জন্য একেক জনের কাছে ৩০-৪০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. শারমিন ফের দৌস চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন অনেক অভিযোগ আ সে। অভিযোগ ফাইল দেখে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *