মোঃ হাবিব ওসমানঃবাংলাদেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি মহতি উদ্যোগ পৃথিবীর আর কোনো দেশে একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক (১৪৭৫৯৮ বর্গমাইলের আয়তনে)মসজিদ নির্মাণ হয়নি। এটা আমাদের বাংলাদেশে প্রথম সম্ভব হয়েছে।

সরকারি উদ্যোগ ও অর্থায়নে একই সাথে এতগুলো মসজিদ নির্মাণের এই মহতী উদ্যোগ জাতীয় ইতিহাসে শুধুনয় মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

মুসলিম বিশ্বের কোন দেশের মুসলিম শাসক বা সরকার প্রধান একসাথে ৫৬০টি মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ
করেননি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই অসাধারণ উদ্যোগ ইতিহাসের অংশ হিসাবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগের কথা যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে।

বাংলাদেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকারের ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ইসলাম ধর্মীয় ইবাদত ও শিক্ষার অনুশীলনের আধুনিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মানের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের
আওতায় বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলায় মডেল ৫৬০ আধুনিক, চিত্তাকর্ষক নিদর্শন ও উন্নত সুযোগ-সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে এই মসজিদ ।

প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও মহতী ভাবনায় মডেল মসজিদ
শেখ হাসিনার ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ খ্রি. তারিখে
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে উক্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য ৮ হাজার ৭২২ কেটি টাকা ব্যায়ে এপ্রিল, ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মেয়াদে ১ম প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুমোদিত হয়।

সংশোধিত অনুমাদিত প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী মডেল মসজিদের জন্য ৪০ শতাংশ যায়গা নির্ধারণ করা হয়। জেলা পর্যায়ে ৪ তলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৩ তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

বিশে^ মুসলিম শাসনামলে মসজিদ এবং তার ইতিহাস
মুসলিম শাসনামলে জামে মসজিদ সরকারি ভবন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কারণ খুৎবা (জুম্মার নামাযের আগে দেওয়া ভাষণ) শাসকের স্বীকৃতির পরিচয় বহন করতো এবং তা সার্বভৌমত্বের ঘোষণা হিসেবে কাজ করত। মসজিদ ধর্মানুরাগের এবং একই সঙ্গে এর পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতা ও আদশের প্রতিফলন ঘটাতো।

মসজিদ একটি আরবি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ সমর্পিত হওয়া। প্রায় প্রত্যেক মসজিদ স্থাপত্যেরই একটি সাধারণ গাঠনিক রূপ থাকে। যেমন- মূল প্রার্থণা কক্ষ, ছাদের উপর স্থাপিত অর্ধ-বৃত্তাকার গম্বুজ এবং উঁচুমিনার। এ গঠনের ব্যতিক্রমও চোখে পড়ে। বিশেষ করে বিভিন্ন ভূখন্ডের মানুষের সংস্কৃতি, আবহাওয়া, ভূ-প্রকৃতি, শাসন কাঠামো, রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রভৃতি সকল দিকই সংশ্লিস্ট ভূখন্ডের ধর্মীয় স্থাপত্য নির্মানের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। বাংলায় মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠার পর মুলমানদের ধর্মীয় প্রয়োজনে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

মুসলমানদের জন্য প্রয়োজন সমবেতভাবে প্রার্থনা করার মত একটি প্রশস্ত স্থান, বিশেষ করে শুক্রবারের সমবেতভাবে জামাতে নামায পড়ার সময়। মুসল্লীদের সবাইকে প্রার্থনায়
নেতৃত্বদানকারী ইমামের পিছনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হয়। একমাত্র অপরিহার্য স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মিহরাব-কিবলা (দক্ষিণ এশিয়ায় পশ্চিম) নামাযের জন্য নির্ধারিত নির্দেশনা
অনুযায়ী এই কিবলা দেওয়াল ফেরানো থাকে মুলমানদের সবচেয়ে পবিত্র তীর্থস্থান কা’বার দিকে।

ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলের পূর্ববর্তী সাড়ে পাঁচশ বছরের মুসলিম শাসনামলে অসংখ্য মসজিদ নির্মিত হয়েছিল, তবে বাংলায় (বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, বাংলার দু’ অংশেই) মসজিদ স্থাপত্যের রীতি বিকশিত হয়েছিল। বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার খলজী (১২০৪-৬) রাজধানী লখনৌতির সর্বত্র একাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা এবং খানকাহ নির্মাণ করেছেন।

তবে তেরো এবং চৌদ্দ শতকের শুরুর দিকের খুব কম ইমারতই এখনো টিকে আছে। ত্রিবেণী অবস্থিত জাফর খান গাজীর মসজিদটি সুনির্দিষ্ট তারিখ বিশিষ্ট ১২৯৭ খ্রি./ ৬৯৭ হিজরি)

এই সময়ের একমাত্র মসজিদ। দুর্ভাগ্যবশত ইমারতটি ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটি একটি আয়তাকার, বহুগম্বুজ বিশিষ্ট বিশাল আয়তনের স্তম্ভভিত্তিক (ঐুঢ়ড়ংঃুষব) নির্মাণরীতির ইমারত ইট দিয়ে তৈরী এই মসজিদের দেওয়ালের গায়ে পাথরের আস্তরণ রয়েছে।

এই ব-দ্বীপ অঞ্চলে সহজলভ্য কাদামাটি থেকে সহজেই তৈরি করা সম্ভব বলে অতি প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা অঞ্চলের স্থাপত্য নির্মাণে ইট ঐতিহ্যবাহী উপকরণ হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছে।

বাংলাদেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত কিন্তু বিশালায়তনের ময়নামতী ও পাহাড়পুর বিহারে (সাত থেকে বারো শতক) এর উদাহরণ পাওয়া গেছে।

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে মডেল মসজিদ নির্মাণ এবং গুরুত্ব ইসলামের প্রকৃত রূপ জনগণের মাঝে তুলে ধরার জন্য বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে ৩ বছরের শাসন আমলে
ইসলামের খেদমতে বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেন।

স্বল্পকালীন সময়ে তিনি ইসলামের জন্য যতটা অবদান রেখে গেছেন তৎকালীন বিশ্বে তা নজিরবিহীন উদাহরণের সৃষ্টি করে।

বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত এই ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৯৭৫-এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী চিন্তার প্রতিফলন রয়েছে এবং বাস্তবায়নে দেশব্যাপী ইসলামি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।

শান্তির ধর্ম ইসলামের শাশ্বত স্বরূপ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যথাযথভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা একান্ত অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। বঙ্গবন্ধু মনে প্রাণে ছিলেন একজন খাঁটি বাঙালি ও ঈমানদার মুসলিম।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা ইসলামের মর্যাদাকে ভুলুণ্ঠিত করেছিল।

ইসলামের মানবতাবাদী শিক্ষার আলোয় আলোকিত ছিল বঙ্গবন্ধুর কর্ম জীবন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনুধাবন করেছিলেন সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন-
ইসলামের শাশ্বত শিক্ষা, ভ্রাতৃত্ববোধ, পরমতসহিষ্ণুতা ও ন্যায়বোধ এর মত মৌলিক গুণাবলী ও এর বানীর প্রচার ও প্রসার দরকার তেমনি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বাস্তবায়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নও প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রয়োজন একটি অভিন্ন প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস, দর্শন, আইন,সংস্কৃতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ সকলমৌলিক উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।

সারাদেশে ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও প্রকৃত মূল্যবোধের প্রচার ও দীক্ষাদান চালু করা। সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

পুরুষ-নারী মুসল্লিদের জন্য নামাজ, ধর্মীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দীনি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভৌত সুবিধাদি সৃষ্টি করা। ইসলামিক জ্ঞান ও সংস্কৃতি সম্প্রসারণেরমাধ্যমে ইসলামি মূল্যবোধের পরিচর্যা ও প্রসার করা এবং সততা ও ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আনুগত্য সমর্থন সৃষ্টি করা।
জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন প্রতিটি মসজিদে একসাথে ১২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। অপরপক্ষে উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একত্রে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।

এসব মসজিদে সারাদেশে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবে।

লাইব্রেরি সুবিধার আওতায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক এক সঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮০০ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সব সময় দোয়া, মোনাজাতসহ তসবিহ পড়তে পারবেন।

মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা থাকবে। আরও থাকবে ইসলামিক নানা বিষয়সহ প্রতিবছর ১ লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। ২ হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। কেন্দ্রগুলোতে
পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে। উপকূলীয় এলাকার মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নীচ তলা ফাঁকা থাকবে।

সকল মডেল মসজিদের ধরন সমুহঃ

তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্মিত । এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার। উপজেলায় ১৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার আয়তনের ‘বি’ ক্যাটারির মসজিদ ৪৭৫টি।

আর উপকূলীয় এলাকা ২০৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার আয়তনের ‘সি’ ক্যাটাগরির মসজিদ ১৬টি। জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকার মসজিদগুলোতে
একসঙ্গে এক হাজার ২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অপরদিকে উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ৯০০ মুসল্লি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। এসব মসজিদে সারাদেশে প্রতিদিন চার লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
সকল মডেল মসজিদের সুবিধা এবং কার্যক্রম মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামায আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরী, গবেষণা ও দীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা,
অতিথিশালা, বিদেশী পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা রাখা হয়। ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রয়েছে।

সারাদেশে নির্মাণাধীন দৃষ্টিনন্দন এ সকল মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে যে সকল সুবিধা রাখা হয়েছে তা হলো:
১.ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র ২. ইসলামিক লাইব্রেরী ৩. অটিজম কর্ণার ৪.ইমাম ট্রেনিং সেন্টার ৫.ইসলামিক গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম ৬.পবিত্র কুরআন হেফজখানা ৭. শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা ৮.দেশী-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা ৯.মরদেহ গোসল ও কফিন
বহনের ব্যবস্থা ১০. হজ্জ যাত্রীদের নিবন্ধনসহ প্রশিক্ষণ ১১.ইমামদের প্রশিক্ষণ গাড়ী পার্কিং ১২ ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা ১৩. নারীওপুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা ১৪.প্রতিবন্ধী মুসলীদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা।

একেকটি মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যয়ঃ
১. জেলা শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। ২. উপজেলা পর্যায়ে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ৩. উপকূলীয় এলাকায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। সারাদেশে নির্মাণাধীন এ সকল মসজিদের ভৌত অবকাঠামো গণপূর্ত অধিদফতরের
মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এত সুন্দর একটা মহতী উদ্যোগ নেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ ধন্যবাদ এবং দীর্ঘ আয়ু কামনা করি। নয় হাজার ৪৩৫ কোটি টাকায় যে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে, তার মধ্যে চার দফায় ২০০টির উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা। সারা দেশে গড়ে তোলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতি ক কেন্দ্রগুলো ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করছে দেশবাসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *