মাকে রেখে রউব কোথাও গিয়ে রাত কাটাতেন না। অথচ পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলায় সেই ছেলে মায়ের চোখের আড়াল প্রায় ১ মাস।
এ কারণে সারাক্ষণ বৃদ্ধা মায়ের চোখের কোণে জল জমে থাকত। হাউমাউ করে কান্না করতেন দুই অবুঝ নাতিদেরকে জড়িয়ে ধরে। ছেলেকে শেষবারের মতো একবার দেখার আকুতি ছিল তার।
তবে তা অপূর্ণই থাকল। মা’কে শেষ বিদায় জানাতে রউব বাড়ি ফিরলেন ঠিকই কিন্ত প্যারোলে তাঁর ৩ ঘণ্টার (সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা) জন্য মুক্ত মিলেছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে আব্দুর রউফের মা নিজ বাড়িইে মারা জান।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার জানাজা শেষে দাফ ন করা হয় গ্রাম্য কবরস্থানে। রউবের বাড়ি দামুড়হুদা উপজে লার নাটুদহ ইউনিয়নের চারুলিয়ায়।
রউব ১১টার দিকে নিজ গ্রামে চারুলিয়ায় ও নিজ বাড়িতে পৌঁছালে তখন পরিবারের লোকজন তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের কান্না আর আকুতিতে কেঁদেছেন অন্যরাও ।
এসময় আবেগপ্রবন হয়ে পড়ে অনেকেই কান্না শিশুদের কান্নায় চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি।
পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, রউবের মা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এবং শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। ছেলে জেলে থাকায় সব সময় চিন্তা করতেন।
মৃত্যুর আগে এক নজর ছেলের মুখটা দেখার আকুতি ছিল রহি মার।
কিন্তু তাঁর সে আশা পূরণ হলো না। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জানাজা শেষে স্থানীয় সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মাকে শেষ বারের মত দেখতে ৩ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পান জামায়াত নেতা আব্দুর রউফ। মুক্তিতে মায়ের জানাজা নামাজে শরিক শেষে দাফন কার্য সম্পন্ন করে পরিবারের লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম সহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির বলেন, মায়ের মৃত্যুর কারণে রউবকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলে সঙ্গে থাকা জেলা পুলিশ তাঁকে নিয়ে পুনরায় জেল হাজতে পাঠাবেন।