ডেস্ক নিউজঃ ৬০ বছর পর শৈশবের পরিচিত পরিজনদের খুঁজে বের করলেন খোদ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি। তিনি বুধবার বিকালে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের নাবা গ্রামের ৪টি পরিবারকে খুজে বের করেন।

এরপর তিনি সেই পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নেন। মন্ত্রী পর্যায়ের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে কাছে পেয়ে আবেগ আফ্লুত হয়ে পড়েন ওই পরিবারের সদস্যরা।

মন্ত্রী বলেন ১৯৬০ সালের দিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচুর অভাব অনটন ছিল। অভাবের তাড়নায় তৎকালীন সময়ে এখানকার মানুষ কাজের সন্ধানে যশোর সহ আশপাশ এলাকায় যেত।

সেই সূত্রে নাবা গ্রামের মৃত মাদার চন্দ্র শিকারীর ৪ ছেলে বিমল শিকারী, সুধীর শিকারী (নির্মল), নুকুল শিকারী ও সুরেন শিকারী যশোরের মনিরামপুরের আমাদের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। তারা ৪/৫ বছর আমাদের বাড়ীতে ছিল। আমি তখন অনেক ছোট। ৭/৮ বছর বয়স হবে। আমি সবসময় তাদের কোলে ও পিঠে চড়তাম।

সেই সময়ের তাদের স্নেহ, আদর ও ভালোবাসা এখনো আমাকে শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। ইতোমধ্যে তারা সবাই মারা গিয়েছে। কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছে। অনেকদিন থেকে ভাবছিলাম তাদের সঙ্গে দেখা করবো।

ব্যস্ততার কারনে ইচ্ছে থাকলেও সুযোগ হয়ে ওঠেনি। অবশেষে ৬০/৬২ বছর পর প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে দেখা করতে পেরে নিজেকে ধণ্য মনে করছি। ওই পরিবারের সদস্য সহ এলাকার মানুষ উলুধ্বনি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী সহ অতিথিদের বরণ করে নেন।

এসময় উপস্থিত সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আক্তারুজ্জামান বাবু, প্রতিমন্ত্রীর সম্মানে তাদের মন্দিরের এক লাখ টাকার অনুদানের ঘোষনা দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা, ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার, আওয়ামীলীগ নেতা শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র শিকারী ও যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *