মোঃ হাবিব ওসমান,ঝিনাইদহ প্রতিবেদক:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শহরের ফয়লা গ্রামে বাড়িসহ ৫ শতক জমি ক্রয় করে দখল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন

উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আবদুল রহমানের ছেলে আব্দুল ওহাব নামে এক ব্যক্তি।

অভিযুক্ত বিক্রয়কারী একই উপজেলার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে লতিফুল আলম ওরফে সহিদুল।

অভিযোগকারী আব্দুল ওহাব জানান, আমি লোক মারফত জানতে পারি শহরের ফয়লা গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে লতিফুর আলম ওরফে সহিদুল তার নিজ নামীয় বাড়ি সহ ২৯নং ফয়লা মৌজায় ৫ শতক জমি বিক্রয় করবে।

পরবর্তিতে আমি বিক্রেতার সহিত যোগাযোগ করে বাড়িসহ ৫ শতক জমি গত ২৭/০৯/২২ ইং তারিখে নগদ ১০ লক্ষ টাকায় ক্রয় করি। যাহার দাগ নং ৪৫৪৭, দলিল নং ৫৫৫২।

উক্ত জমি রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর বিক্রেতা লতিফুল আলম সহিদুল তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে আমার ক্রয়কৃত বাড়ি তে কিছুদিন ভাড়াটিয়া থাকার দাবী জানায়।

আমি ৮ হাজার মাসিক ভাড়া চুক্তিতে তাদেরকে থাকার প্রস্তা ব করলে তারা থাকিতে রাজি হয়। পরবর্তিতে ২ মাসের ঘর ভাড়া প্রদান করে।

এরপর আমি ৩ মাসের জন্য তাবলীগ জামাতে দেশের বাইরে অবস্থান করি। ফিরে এসে তাকে জমি ছাড়তে বললে সে বিভিন্ন তালবাহনা শুরু করে কালক্ষেপন করে।

পরবর্তিতে সে বিভিন্ন মানুষের কাছে বলতে থাকে আমি বাড়ি বিক্রয় করিনি আমি বাড়িটি বন্ধক রেখেছি।

আমি তার অসৎ উদ্দেশ্য জানতে পেরে স্থানীয় জনপ্রতি নিধিদের এ বিষয়টি অবগত করি। এরমধ্যে লতিফুল আলম
সহিদুল বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এবং জমি দখল দিতে অস্বিকৃতি জানায়।

এতে আমি এবং আমার পরিবার মানষিকভাবে হয়রানির স্বিকার হয়ে গত ২৩/০৯/২৩ ইং তারিখে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

পরবর্তিতে আমি লতিফুল আলম সম্পর্কে আরও জানতে পারি সে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে আর্থিক লেনদেনে সিমাহীন ছলচাতুরীর কারনে তার নামে থানা এবং আদালতে একাধিক মামলা চলমান আছে।

সম্প্রতি সে চেক জালিয়াতির মামলায় সাজা ভোগ করে জেল থেকে জামিনে আছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লতিফুল আলম সহিদুল জানান, আমি সাংসারিক প্রয়োজনে বাড়িসহ ৫ শতক জমি বন্ধক দেওযার ঘোষনা দিলে উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আব্দুল ওহাব মিয়া তাতে সম্মত হয় এবং বাড়িসহ ৫ শতক জমি বন্ধক নেন। আমি জমি রেজিষ্ট্রি করিনি।

বিষয়টি জানতে উপজেলা সাব-রেজিষ্টার শিরিনা খাতুন বলেন, যেহেতু জমির নামজারি হয়ে গেছে সেহেতু এখানে কোন ভূল থাকার কোন সুযোগ নেই।

আমাদের কর্মকর্তারা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করেই জমির নামজারি করেছেন। জমি দখল না দিলে ভূক্তভোগী আইনের আশ্রয় নিতে পার বেন। অভিযুক্ত ভূল তথ্য দিলে সেটা হবে তার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *