রাকিব হাসান,মাদারীপুর ঃবাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি করা হয়।
কিন্তু দীর্ঘ দিনেও শিক্ষা ক্যাডারকে বিশেষায়িত পেশা হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি। তাই বিশেষায়িত পেশার দাবিতে মাদারীপুরে অঞ্চলের সাধারণ শিক্ষা ক্যাডাররা দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেন।

সোমবার (২ অক্টোবর)মাদারীপুর সরকারি কলেজ মাঠে সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে বলে জানান এ অঞ্চলের সাধারণ শিক্ষা ক্যাডাররা।

এদিকে, আজকের কর্মবিরতির পর দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিনদিন কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা।

কর্মবিরতিতে বক্তারা  বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাক্যাডার কর্মক র্তারা বিভিন্ন সরকারি কলেজের কর্মরত। তাদের এন্ট্রিপদ প্রভাষক এবং পেশায় মূলত শিক্ষক হলেও তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা

অধিদপ্তর (মাউশি), শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদ প্তর, শিক্ষার বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়সহ শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরে প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন।

ফলে তাদের কর্মবিরতিতে শিক্ষা প্রশাসনে স্থবিরতা সৃষ্টির শঙ্কা আছে।ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদ সৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরস নসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবি।

শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো- প্রাপ্যতা সাপে ক্ষে সব যোগ্য কর্মকর্তার পদোন্নতি, পদসৃষ্টি, স্কেল আপ গ্রে ডেশন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজি শনের সুরক্ষা ও শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার।

তারা জানান, বর্তমান সময়ে শিক্ষা ক্যাডার আবারও বেশ প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়েছে। সে প্রতিকূলতা দূর করার ক্ষেত্রে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

শিক্ষা ক্যাডারদের বঞ্চনা আর বৈষম্যের মাধ্যমে এ পেশার কার্যক্রমকে সংকুচিত করা হয়েছে। এ পেশাকে গ্রাস করছে অদক্ষ অপেশাদাররা যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের পরিপন্থী।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বা ধীন সরকার যেসকল অভীষ্ট নির্ধারণ করেছে সেগুলো অর্জ নে তিনিও শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলা দেশ গঠনে তাই তিনি স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ছেন। এগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজন জাতির পিতার দর্শনের বাস্তবায়ন।

বক্তারা বলেন, প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাস্তর সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের নবম গ্রেডের উপরে সকল পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফ সিলভুক্ত। এসব পদে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা বাদে অন্য কার ও পদায়নের সুযোগ নেই।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভুতদের অপসারণের দাবী জানিয়েছি কিন্তু সেটি করা হয়নি। উপরন্তু আমরা লিখিতভাবে আপত্তি জানাবার পরেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা

ক্যাডারের তফসিলভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১২ টি পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিল বহির্ভূত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এটি সুস্পষ্টতই শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বের উপর আঘাত।

আমরা এসকল কর্মকান্ডকে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামীল মনে করি। শিক্ষা ক্যাডারকে অন্ধ কা রে রেখে এই বিধি করার এখতিয়ার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। আমরা শিক্ষা ক্যাডার বিরোধী এসকল কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

কর্মবিরতিতে উপস্থিত ছিলেন, মাদারীপুর সরকারি কলে জের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: জামান মিয়া, বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সচিব ও মাদা রীপুর সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যপাক কামাল হোসেন, কলেজ ইউনিটের সম্পাদক বেদানন্দ হালদা র, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলা মস হ মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *