নিজস্ব প্রতিবেদক, (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় জমি বিক্রির টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রি না করে উল্টো হত্যার হুম কি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালানো হচ্ছে।
জমি ফিরে পেতে ও প্রাণ নাশের হুমকি থেকে বাঁচতে মঙ্গল বার বিকালে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের ভূক্তভোগী মোঃ সুমন হোসেন ও তার পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুত্রবধু নাজমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ২০০৬ সালে দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের হযরত আলীর নিকট থেকে আমি বসবাসের জন্য ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ৫ শতক জমি ক্রয় করি।
যার কয়ারপাড়া মৌজার খতিয়ান নম্বর ৪৩৭ ও দাগ নম্বর ৭১১।
জমি ক্রয়ের পর লিখিত বায়নানামা করে সেখানে বসবাস করছি। বায়নানামার পর জমি রেজিস্ট্রি করতে চাইলে শুরু করে তালবাহানা। বছরের পর বছর ধরে হযরত আলী প্রতা রনা করে চলেছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, আমি আমার পরিবার নিয়ে দীর্ঘ আঠার বছর ধরে ওই জমিতে বসবাস করে আসছি।
কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি না করে উল্টো জমি থেকে উচ্ছেদ করা র ষড়যন্ত্র করছে।
ইতোমধ্যে তিনি আমার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে পর্যায়ক্রমে ৪টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় চৌগাছা ইউনি য়ন পরিষদের চেয়ার ম্যানকে জানিয়েছি।
উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে এক শালিস বৈঠক হয়। সেখানে যাচাই করে প্রমানিত হয় যে আমি জমিক্রয় করেছি।
এমতাবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলীকে জমির চুক্তি পত্র বা বায়না নামার শর্তানুযায়ী জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু সেটা তিনি অমান্য করেন।
একই সাথে আমার ও পরিবারকে শায়েস্তা করতে মিথ্যা মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে যশোর পিবিআই ওই মামলা তদন্ত করেন।
ঘটনার তদন্ত পূর্বক আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই।
তদন্ত প্রতিবেদনে হযরত আলীর প্রতারণা ধরা পড়ে। একই সাথে বায়নানামা করার পরও জমি রেজি স্ট্রি করে দিচ্ছে না তার সত্যতা নিশ্চিত হয় ওই তদন্তে।
তারপরও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি আজও জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। বরং বারবার জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে।
এমনকি জমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে। জমির বিষয়ে তার কাছে গেলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বেশি বাড়াবাড়ি করলে খুন করে ফেলবে।
এমতাবস্থায় পরিবার নিয়ে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্ত ভোগী মোঃ সুমন হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দাউদ আলী, স্ত্রী ছাইয়ার বেগম, পুত্রবধু নাজমা খাতুন প্রমূখ।