চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ॥ যশোরের চৌগাছার জগদীশ পুর-মির্জাপুর ইসমাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫টি শুন্য পদে নিয়োগে ৫০ লাখ টাকার অর্থ বানিজ্য করার সিদ্ধান্ত নেযা হয়েছে।

সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন বলে জানাগেছে।

এ নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে ভয়েজ কল ফাস হওয়ায় এলাকায় আলোচনার ঝড় বইছে।

এই অনিয়ম বন্ধ করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবক সদস্য ও অন্যন্যরা।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জগদীশপুর-মির্জাপুর ইসমাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন প্রধান শিক্ষক, ল্যাবঅপারেটর, অফিস সহায়ক, আয়া ও একজন পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অফিস সহায়ক পদে ১২ জনসহ মোট ২৫/৩০ জন চাকরি প্রত্যাশিরা আবেদন করেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন জানান, নিয়োগের বিষয়টি চুড়ান্ত করার লক্ষে সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সভাপতি আমির হামজা রয়েল, প্রধান শিক্ষক তবিবর রহমান, বিদ্যুৎ সাহী সদস্য তারিকুল ইসলাম সাবু এক বৈঠকে মিলিন হন। সেখানে ৫ জন চাকুরী প্রত্যাশীদের নিকট থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ৫ জনকে মনোনীত করা হয়েছে। এরমধ্যে অফিস সহায়ক পদে জগদী শপুর গ্রামের আল আমিন হোসেন ও ল্যাব অপারেটর পদে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনীত করা হয়েছে।

প্রত্যেক প্রার্থীর নিকট থেকে সব টাকায় আদায় করা হয়েছে বলে ভয়েজ কলের মাধ্যমে তথ্য তথ্য মিলেছে।

এ নিয়োগ বানিজ্য নিয়ে সম্প্রতিকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষ ক তবিবর রহমান ও প্রার্থী আলামিনের কয়েকটি ভয়ে জ কল ফাস হয়। ভয়েজ কলে উভয়ের কথোপকথনে টাকা আদায় করা হয়েছে তা জানাগেছে।

ভয়েজ কলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রার্থী আলামীনকে দেখা করার বিষয়টি বলেন।

সেখানে এছাড়া আরো বলেন, স্যার সভাপতির কাছে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি।

পুরোপুরি চাচ্ছে। ভয়েজ কলের কথোপকথনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, সবার কাছ থেকে টাকা কুড়ো নো (নেয়া) শেষ। প্রার্থী বলেন, আমারটা বেঁধে ছিল। তাওতো ঠিক করে দিলাম।

দুটি ভয়েজ কলে প্রায় ৮মিনিট কথাবার্তা হয়। সেখানে অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি স্পষ্ট উঠে আসে। এই ভয়েজ কল ফাস হবার প্রেক্ষিতে এলাকায় ব্যাপক তোল পাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

অর্থবানিজ্যের এমন ঘটনায় বিদ্যাল য়সহ এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তবিবর রহমান বলেন, নিয়োগের বিষয়ে কোন লেনদেন হয়নি। ভয়েজ কলের বিষ য়ে বলেন, অনেক লোকের সাথে আমার কথা হয়।

আর আলামিনতো আমার ছাত্র। তার সাথে কিবা কথা বলতে পারি।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হামজা বলেন, নিয়ো গের বিষয়ে কোন বৈঠক হয়নি এমনকি কোনো লেনদেন হয়নি। যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে।

ভয়েজ কলের বিষয়ে বলেন, আমার সামনে এনে বলেন টাকা নেয়া হয়েছে কিনা। কলের বিষয় আমি কিছু জানিনা।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুলকালাম রফিকুজ্জামান বলেন, টাকাপয়সার লেনদেন ওপেন সিক্রে ট,এটাতো সকলে জানে।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছে। টাকার লেনদেনের বিষ য়টি কেউ স্বীকার করেনা। তারপরও আমি মনে করি কোন নিয়োগে টাকা নেয়া উচিৎ না।

বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। তিনি বলেন নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ এখনো চুড়ান্ত হয়নি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *