মফিজুল ইসলাম শৈলকূপা (ঝিনাইদহ)ঃ আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে  শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ও গ্রাম এলাকার  চায়ের দোকান গুলো তে কোন দল থেকে কারা মনোনয়ন চাচ্ছে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।ঝিনাইদহ -১  বিএনপি চায় দুর্গ পুনরুদ্ধার আওয়ামী লীগ চায় ধরে রাখতে
ঝিনাইদহ ১শৈলকুপা আসনটি ১টি পৌর সভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে  এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৬৫হাজার ৬শ ৩২জন।এদের মধ্যে পুরুষ ১লাখ৭১হাজার ১শ ৫জন,মহিলা ১লাখ ৬৪ হাজার ৫শ ২৭ জন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ আসনটি ১৯৯০সাল পযন্ত আওয়ামী লীগ ও জাসদের দখলে ছিল।
পরে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওহাব সাংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়।তখন এই আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত থাকলেও গত ২০০১সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই ৪বার সংসদ সদস্য  নির্বাচিত হয়।
তখন থেকেই আওয়ামী লীগের দখলে থাকায় তৃণমূল   পর্যন্ত সংগঠনটি অনেক শক্তিশালী হয়েছিল। তবে কয়েক বছর পর দলের ত্যাগী নেতা কর্মীরা মৃল্যায়ন না পাওয়া নব্য আওয়ামী লীগদের মৃল্যায়ন করার কারনে দলের মধ্যে নেতা কর্মীদের বিভেদ সৃষ্টি শুরু হয়।
সেই থেকেই প্রতিটি গ্রামেই আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শুরু হয় মারা মারি।এতে উভয় গ্রুপই মামলার আসামি হয়ে জেল হাজতে যেতে হয়।
উপজেলা ও ইউনিয়ন  নির্বাচনের সময়৭জন আওয়ামী কর্মী নিহত হয়। অনেকেই দলীয় ভাবে মনোনয়ন চাইলেও এমপির পছন্দ মত প্রার্থীকে দলীয়  মনোনয়ন দেওয়ার  অভিযোগ করেন নেতা কর্মীরা।
সেই  কারনে এমপি আব্দুল হাইর প্রতি আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ নাখোশ হয়ে গ্রুপিং করতে থাকে।আবার দলের নেতা কর্মীদের হাতে ত্যাগী নেতা কর্মীরা মারধর খেয়ে অনেকে পঙ্গু হয়ে গেছে বলে দলের  একাধিক নেতা কর্মীরা জানান।
আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে যারা মিছিল মিটিং শুরু করেছেন তারা হলেন বর্তমান এমপি  ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, আওয়ামী লীগের নির্বাহীকমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা,  জেলা আওয়ামী লীগের সহস ভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল, সাবেক উপজেলা চেয়ার ম্যান আওয়ামী নেতা নায়েব আলী জোয়ার্দার, পৌর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী আশ রাফুল আজম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রাজু ও পান্না জামানের নাম শোনা যাচ্ছে।
সম্ভব প্রার্থী রেজাউল ইসলাম রাজু  জানান, মানুষ পরিবর্তন চায় ডিজিটাল দেশ গড়তে পরিবর্তনের দরকার সন্ত্রাস ,দৃর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সব সময় কথা বলি প্রতিবাদ করি।
দল থেকে মনোনয়ন চাইব তবে যদি পায় তাহলে নির্বাচন করব।এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মিটিং মিছিল শুরু করেছে। তিনি বলেন এবার দলীয় ভাবে আমাকেই মনোনয়ন দিবে।পারভীন  জামান কল্পনা বলেন কেন্দ্র থেকে আমাকে মনোনয়ন দিবে আমি দলের সার্থে সব সময় কাজ করি।
নায়েব আলী জোয়ার্দার বলেন জনমত জরিপে আমি এগিয়ে আমার বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম  দৃনীর্তির অভিযোগ নেই  দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। যদি না দেয় তাহলে যাকে দিবে তাকেই নির্বাচন করব।
বর্তমান এমপি আব্দুল হাই বলেন কিছু দৃস্কৃত লোক আমার বিরুদ্ধে অনেক কথায় বলে বেড়েছে  তবে এবার আমার শেষ নির্বাচন দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে তখন বসন্তের কোকি লেরা চলে যাবে। আমি এসব নিয়ে ভাবি না।অপর দিকে
 বিএনপি তাদের হারানো দুর্গটি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠলেও দলের দৃর্দিনে যারা হালধরে ছিলো এবং একাধিক হামলা মামলার আসামি তাদের বাদে উপজেলা কমিটি সহবিভিন্ন ইউনিয়নে কমিটি করায়  দলের মধ্যেও একাধিক গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে দলের গ্রুপিং মিমাংসা করতে না পারলেএবারও আসন টি বিএনপির হাত ছাড়া হয়ে যাবে বলে অনেকেই মনে করে ন।
আগামীতে কার হাতে যাবে এই আসন তা নিয়ে চলছে বেশ জল্পনা-কল্পনা।বিএনপির যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলে ন বিএনপির আান্তাজাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পা দক এ্যাডঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, বিএনপির কেন্দ্রী য়কমি টির সদস্য সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, বিএনপির খুলনা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত  কুমার কুন্ডও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান আলীর নাম শোনা যাচ্ছে।
  এব্যাপারে সম্ভব প্রার্থীরা বলেন দলের এখন দৃসময় সবাই আছি আন্দোলনের মাঠে তবে দলীয় মনোনয়ন চাইব দল যাকে মনোনয়ন দিবে সবাই তার নির্বাচন করব।
এদিকে সদ্য নিবন্ধন কৃত ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার দল তৃণ মূল বিএনপি থেকে তৃণমূল বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান কে এ জাহাঙ্গীর হোসেন মজমাদার, জা তীয় পার্টি থেকে মনিকা আলম,চরমোনায় থেকে রায়হান উদ্দিনের নাম শোনা যাচ্ছে।
তবে বড় দুই দলের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে  দেখা  দিয়েছে কেন্দ্রী য় নেতারা যদি দলের বিরোধ মিমাংসা করতে না পারে তাহ লে তৃতীয় পক্ষের কাছে আসনটি চলে যাবে বলে সাধারন ভোটাররা মনে করেন।
One thought on “ঝিনাইদহ -১ বিএনপি চায় দুর্গ পুনরুদ্ধার আওয়ামী লীগ চায় ধরে রাখতে”
  1. ঝিনাইদহ -১  বিএনপি চায় দুর্গ পুনরুদ্ধার আওয়ামী লীগ চায় ধরে রাখতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *