মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ করে অভানীয় সাফল্য পাচ্ছেন চাষীরা। এ জেলায় ইউরোপিয়ান ফল ড্রাগন চাষে বিস্ময়কর এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে।

দুই বছরের ব্যবধানে চাষ বেড়েছে ৮গুণ। জেলার ৮শ৪২ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে, যেখান থেকে উৎপা দন হয়েছে ৫শ৩৮ কোটি টাকার ফল। অথচ ২বছর আগেও মাত্র ১শ৪১ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হতো।

সরেজমিনে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের গৌরীনাথপুর গ্রামে যেয়ে দেখা যায় এই ব্যতিক্র মী বাজারে শুধু ঝিনাইদহ নয় আশপাশের যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর সহ বিভিন্ন জেলার কৃষক এখানে ড্রাগনফল বিক্রি করতে আসে আর ব্যবসায়ীরা আসে ফল কিনতে ।

আর চুক্তিবদ্ধ শতাধিক কৃষকের ফল যাচ্ছে দুবাই।

গৌরীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খোরশেদ আলম জানান, গৌরীনাথপুর কে ড্রাগনের রাজধা নী বলা হয়, এখানকার প্রতিটি পরিবার, কৃষক ড্রাগনচাষের সাথে জড়িত।

গৌরীনাথপুর ড্রাগন ফলের চাষী ও ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ২০২৩ সালের শুরুর দিকে ড্রাগন ফলের ১টি মাত্র আড়ত গড়ে তোলেন।

সহ এ অঞ্চলে হাজার হাজার টন, মালাধারপুর গ্রামের কোটচাঁদপুর-মহেশপুর সড়কের গৌরীনাথপুর গ্রামে রাস্তার পাশে গড়ে তোলেন। তিনিই গৌরীনাথপুর ড্রাগন ফলের আড়ত তৈরীর প্রথম উদ্যোক্তা।

আড়তের নাম দেন ‘বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা আর ড্রাগনের রাজধানী গৌরীনাথপুর নতুন বাজার।

জসিম উদ্দিন বলেন, দেশের নানা প্রান্ত ঘুরেছেন কিন্তু এত পরিমান ড্রাগন চাষ কোথাও দেখেননি।

তাই আড়তের নাম দিয়ে দেন ‘বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা আর ড্রাগনের রাজধানী গৌরীনাথপুর’।

এখন তার আড়ত থেকে প্রতিদিন ৪০-৫০ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে, দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসে পাইকার ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী বিলাল হোসেন জানান, জসিমের দেখাদেখি একটার পর একটা আড়ত গড়ে উঠছে,যার সংখ্য এখন ছোটবড় ২৮টি।

বাজারটি ঘুরে দেখা মেলে, জসিম উদ্দিনের সিয়াম-তাসিম
ফল ভান্ডার, তারিকুল ইসলাম রিয়ালের নিলয়-নিগার এগ্রো ফার্ম, নাজমুল হকের হক ফল ভান্ডার, আনিচুর রহমা নের সরকার ফলভান্ডার, আবু সাইদ ও কামাল হোসে নের এস কে ফলভান্ডার, ইসমাইল হোসেন ও আসাদুলের আজিজ মিলিটারি মার্কেট, সাইদ,কামাল, সোহাগ ও জামিলের আ য়ান ফলভান্ডার, কামরুল ইসলামের আলামপুর ফলভান্ডার, সোহাগ সরকারের বিসমিল্লাহ ফলভান্ডার অন্যতম।

আরো দেখা গেছে, পাইকার ব্যবসায়ীদের প্রতিটি আড়তে ১০-১৫জনের বেশী শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *