মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ নওগাঁয় সৎ মা ও সৎ বোনকে
মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করেছে এক পাষন্ড যুবক। মা মেয়ে বর্তমানে নওগাঁ সদর হাসপাতালের ৬ষ্ঠতলায় চিকিৎ সাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ হাসাপাতালে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং মামলা নেয়ার কথা বলেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তীপুর ইউনিয়নে
মাধাইনগর পূর্বপাড়ায়। হাসাপাতালে শুয়ে সৎ পুত্রের দ্বারা মারাত্মক আহত হওয়া মা মজিদা বেগম (৪৭) মারপিটের কারন এবং লোমহর্ষক এই পেটানোর বর্ননা তুলে ধরেছেন।
তাঁর দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায় পূর্বের স্ত্রী মারা গেলে মাধাইনগর গ্রামের ময়েন উদ্দিন উক্ত মজিদা বেগমকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে আনেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী হয়ে আসার পর তিনি আগের স্ত্রীর রেখে যাওয়া দুই পুত্রকে নিজের ছেলের মত করে সেবা যতœ দিয়ে বড় করে তোলেন। পরবর্তীতে মজিদা বেগমের গর্ভে দুই কন্যার
জন্ম হয়। কালের প্রবাহে তারা বড় হয়।
মজিদা বেগমের দুই মেয়ের বিয়ে হয়। প্রথম স্ত্রীর দুই পুত্রে রও বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে মোমিনুল হক বাড়িতে আছে আর অন্য পুত্র বিদেশে রয়েছে।
দ্বিতীয় স্ত্রী মজিদা বেগমের দুই মেয়ে ইশরাত জাহান ও মৌসুমী আখতার নিজ নিজ স্বামীর সাথে চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় অবস্থান করে। ইতিমধ্যে তাদের পিতা ময়েন উদ্দিন মৃত্যুবরন করেন।
পিতার মৃত্যুর পর সম্পন্ন সম্পত্তি নিজে ভোগ দখল করার মানষে এবং সৎ মা ও সৎ দুই বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে উক্ত মোমিমনুল হক বিদেশে অবস্থানরত অন্য ভাইয়ের যোগসাজশে প্রায়শই মজিদা বেগমকে মারধর করতো।
বাড়ি থেকে বের করে দেযার চেষ্টা করতো। আর সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে সৎ মায়ের প্রতি নির্যাতনের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি থাকে।
এ ব্যাপারে সৎ মা মজিদা বেগম কোর্টে একটি মামলা করে এবং বাড়িতে থাকতে না পেরে তার কন্যা ইশরাত জাহানের ঢাকার বাসায় চলে যান। সেখানে বসবাস করতে থাকেন।
কোর্টে দাখিলকৃত ঐ মামলার শুনানীর তারিখ নির্ধারিত হও য়ার চিঠি পেয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর’২০২৩ শনিবার সন্ধ্যায় মা মজিদা বেগম ও তার দুই কন্যা ইশরাত জাহান ও মৌসুমী আকতার মাধাইনগর নিজ বাড়িতে গেলে তাৎক্ষনিকভাবে মোমিনুল ইসলাম তাদের উপর হামলা চালায়।
বাড়িসু শীল সমাজের সঙ্গে সভা নিয়ে ব্যস্ত ইসিডে স্ক নিইজ: থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে।
এক পর্যায় লোহার সাবল, লাঠি, ছোরা ইত্যাদি দিয়ে তাদের উপর আক্রমন করে। লোহার সাবল দিয়ে মা মজিদাবেগমের দুই পায়ে মারাত্মকভাবে হামলা চালায়।
এতে তার ডান পায়েমারাত্ম জখম হয়। পায়ের একটি হাড় ভেঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে।
অপরদিকে বোন মৌসুমীকে সারা শরীরে পেটানো হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও মেয়েকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত মা মজিদা বেগমের পায়ে ব্যান্ডেজ
থাকা সত্বেও রক্ত বন্ধ হচ্ছিলনা।
পরিস্থিতি ছিল আশঙ্কা জনক।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ফায়সাল বিন আহসান জানিয়েছেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং সা থে সাথে এক অফিসারকে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
গভীর রাতে তিনি নিজেও হাসাপাতালে আহত মজিদা বেগম ও তার কন্যাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে মামলা গ্রহণপূর্বক আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
গভীর মাতৃ¯েœহে বড় করে তোলা ছেলে তার মা ও বোনকে এমন করে পিটিয়ে রক্তাক্তভাবে আহত করার ঘটনায় এলা কাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তাঁরা এই পাষন্ডতার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।