মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ নওগাঁয় পৃথক পৃথক অভি যানে বিএনপি জামায়াতের ৪৫ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার রাতে জেলার আত্রাই, রাণীনগর,সাপাহার ও নিয়াম তপুর থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামা য়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। মারপিট এবং নাশক তা মামলায় জড়িত সন্দেহে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আত্রাইয়ে ১১জন, রাণীনগরে ৮জন, সাপাহারে ১৫ জন এবং নিয়ামতপুরে ১১ জন।

গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। জেলা বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দ এ ধড়-পাকড়ের তীব্র নিন্দা ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।আত্রাই থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের শ্রমিকলী গের সহ-সভাপতি কাউসার ও তার দলীয় লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কাউসার বাদি হয়ে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দে হে উপজেলার মাগুড়াপাড়া গ্রামের কফিল উদ্দীনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৫৭), ভবানীপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জা কের ছেলে সুলতান (২৬), ব্রজপুর গ্রামের সিফাতহোসেনের ছেলে আবদুর রাজ্জাক (৩২), হাটকালুপাড়া গ্রামের সাইদুর
রহমানের ছেলে খোরশেদ আলম (৪৫), সন্যাসবাড়ি গ্রামের মংলা প্রামানিকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও নওদাপাড়া গ্রামের মানিক্কার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৫)কে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া গত ১৬আগষ্ট রাতে নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনার বৈঠক করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জড়ি ত সন্দেহে ভোপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আবদুর রশিদ (৪১), কবেজ উদ্দিনের ছেলে রবিন শাহ (৪২), ব্রজপুর গ্রামের উকিল প্রামানিকের ছেলে ফজলুল হক (৫০), সাহেবগঞ্জ গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪৭) ও বাগমারার দ্বীপপুর গ্রামের রহিদু লের ছেলে রাকিব (২৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর দিকে
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি- তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, গত বছরের ১৭ নভেম্বর মারপিটের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রাসেল বাদি হয়ে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভবানীপুর গ্রামের আমজাদ হো সেনের ছেলে মাসুদ রানা (৩৮), আতাইকুলা গ্রামের মোসা ব্বর হোসেনের ছেলে ফজেল হোসেন (৪৬), লোহাচুড়া গ্রামে র তছিম উদ্দীনের ছেলে সাবের আলী (৪৭) ও একই গ্রামের মোছির আলীর ছেলে জসিম উদ্দীন জেমস (৪৩), কুজাইল গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে লিটন (৩০) ও লক্ষীকোলা গ্রামের আয়েজ
উদ্দিনের ছেলে আকতার হোসেন (৬০)কে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া গত বছরের ১৬ আগস্ট দায়েরকৃত নাশকতা মাম লায় লোহাচুড়িয়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে জয় নাল (৩২) ও ঘোষগ্রামের হাফিজুরের ছেলে আকরাম হোসেন (৪১)কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা বিএনপি জামা য়াতের সক্রিয় সদস্য জানিয়ে পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা জানান গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

সাপাহার থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৫ জন বি এনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৮অ ক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাপাহার উপজেলার গোডাউন পাড়ার মিঠু রহমান ৫৫), সুমন বাবু (৩৪), রেজাউল করিম (৩৬), সৈয়বুর আলী (৩৪), রুবেল ইসলাম (৩৩), ফাইম হোসেন (১৯), সাপাহার চৌধুরী পাড়ার সাহেব আলী (৪৩), মধুইল গ্রামের মাসুদ রানা (২২), নাজির উদ্দিন (৪৬),সাপাহার হাপানিয়া গ্রামের আবদুর রহিম (৪০), হাপানিয়া আন্ধার
দিঘীর আনোয়ার পারভেজ (৩১),করলডাঙ্গা টেংরাকুড়ি গ্রামের শরিফ উদ্দিন (৫৮), কহেন্দা মাষ্টার পাড়ার সামিউল হোসেন (৩৯), আফজাল হোসেন (৩৫) ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রেজাউল করিম (৩০)।

সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির বলে ন, গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নিয়ামতপুরে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে উপ জেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার দারাজপুর গ্রামের আজিম উদ্দিন মোল্লা (৫৮), ভাতকুন্ডু গ্রামের আরিফ উদ্দিন
(৩৮), পাঁড়ইল কুড়াপাড়া গ্রামের সহোদর দুই ভাই সুলতান আহম্মেদ (৬০) ও সেলিম দেওয়ান (৫১), ঝাঁজিরা গ্রামের মুরাদ হোসেন (২৪), পাঁড়ইল গ্রামের আবদুল হাই (৬১), হরিপুর গ্রামের জিয়াউল হক (৩৮), কাশিয়াবাড়ী গ্রামের মতিউর রহমান (৩২), সন্তোষপাড়া গ্রামের বাবুল মন্ডল (৩৫), হিন্দুরবাউল গ্রামের আরিফুজ্জামান (৩০) এবং তুলারবাউল গ্রামের আতারুল ইসলাম (৪৩)। থানা সূত্র জা নায়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের অর্ন্তঘা তমূ লক কর্মকান্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের কার্যক্ষমতা ও কার্য করিতা ব্যহত এবং ক্ষতি সাধনের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র
করার অপরাধে শনিবার রাতে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে।

পরে ১১ জনকে রাতভোর অভিযানে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রে প্তারকৃতদের আদা লতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *