মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
গত ১২ই জুন ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভাধীন পশুহাসপাতাল পাড়ায় আপন বড় ভাই হুমায়ন কবীর মিলনের কবলাকৃত সাড়ে ১৭ শতক জমির উপর থাকা ছোট বড় ৮০টি মেহগুনী গাছ জোর পুর্বক কেটে বিক্রি করে নিয়ে ছে ছোট ভাই মেহেদী হাসান লিমন।
এঘটনায় বড় ভাই হুমায়ন কবীর মিলন বাদী হয়ে ছোট ভাই লিমন ও গাছ কর্তনকারি ব্যাপারী সহ তিন জনের নাম উল্লেখ মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে মহেশপুর পৌরসভাধীন পশু হাসপাতাল পাড়ায় বসবাস কারী মোঃ সিরাজুল ইসলাম তাহার দুই ছেলের নামে কবলাকৃত লিখে দেওয়া মহেশপুর পৌরসভাধীন হামিদপুর মৌজার আর এস ১৯৩৯ খতিয়ানের হাল ১০৮৮ নং দাগের ৩৫ শতক জমির মধ্যে হুমায়ন কবীর মিলন অর্ধেক সাড়ে ১৭ শতক নামীও জমির মালিক হয়ে দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর যাবত মেহগুনী গাছ লাগিয়ে পরিচর্চা করে আসছিল।
গত সপ্তাহে বড় ভাইয়ের অজান্তে ছোট ভাই মেহেদী হাসান লিমন তার নিজ অংশের গাছসহ বড় ভাইয়ের নামীও সাড়ে ১৭ শতক জমিতে থাকা ছোট বড় ৮০টি মেহগুনি গাছ জোর পুর্বক কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য ১০/১৫ লক্ষ টাকা হবে বলে বড় ভাই এক ভিডিও স্বাক্ষাৎকারে জানিয়েছে।
বড় ভাই হুমায়ন কবীর মিলন আরো জানান গত ১৯ মাস আগে মা মারা গিয়াছে, আর সেই থেকে আমার ক্ষতি সাধনের জন্য ছোট ভাই লিমন বাবাকে ফুসলিয়ে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত করে বাবার সমস্ত সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার লক্ষে আমার ও আমার স্ত্রী সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া সহ একের পর এক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
যাহা অত্র এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ একাধিক ব্যক্তিদয় কয়েক দফায় সমাধান করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ রয়েছে।
এঘটনায় গত ১৪ই জুন বড় ভাই হুমায়ন কবীর মিলন বাদী হয়ে ছোট ভাই মেহেদী হাসান লিমন ও খালিশপুরের কাঠ ব্যবসায়ী আবু কালাম সহ তিন জনের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গাছগুলো জব্দ করতে না পারলেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বিষয়টি নিয়ে এলকার মানুষের মুখে নিন্দা সহ মুখরোচক গল্পের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মিলন তার জীবনের নিরাপত্তা ও বিচারের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
অপর দিকে গাছ বিক্রেতা ছোট ভাই মেহেদী হাসান লিমনের সাথে দেওখা না পাওয়ায় তাহার কোন বক্তব্য দেওয়া স্বম্ভম হয়নি।