সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
আন্তজার্তিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত দুই পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করে ছে কাউন্টার টেরিজম ইউনিটের পুলিশ সদস্য রা।

সোমবার (২১ আগষ্ট) সাতক্ষীরার শ্যাম নগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের তারানীপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা
হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজে লার তারাণীপুর গ্রামের শের আলী গাজীর ছেলে রাজাকার আব্দুল আজিজ গাজী (৮৪) ও একই গ্রামের পুটে গাজীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য সুরত আলী গাজী (৭৪)।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কালিনগর গ্রামের আশিষ কুমার মন্ডল ও ইসরাফিল গাজী জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তারানীপুর গ্রামের
রাজাকার কমান্ডার আব্দুল আজিজ গাজী ও সরত আলী মেম্বরের নেতৃত্বে কালিনগর, হরিনগর, ধুমঘাট ও নকীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শরনার্থী ও মাক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির লোককে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাদের বাড়িঘর লুটপাট করে ভেঙ্গে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

১৯৭১ সালের ২৭ অক্টোবর ভেটখালি-জয়াখালি খেয়াঘাটে আজিজ ও সুরত আলীর নেতৃত্বে ১০ জনেরও বেশি শরনার্থীকে ধরে নিয়ে ব্রাশ ফায়ার করা হয়।

তারা আরো জানান, ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে কালিনগর গ্রামের বামাচরণ মন্ডলের ছেলে সুরে ন্দ্রনাথ মন্ডলসহ কয়েকজন হিন্দুকে ধরে নিয়ে ধুমঘাট এলাকায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের মেয়ে টুকু রানী মন্ডল বাদি হয়ে ১৯৯৬ সালে সাতক্ষীরা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন আব্দুল আজিজ ও সুরত আ লীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ওই দুই আসামী দীর্ঘদিন জেলে থেকে মহামান্য হাইকোর্টে থেকে জামিনে মুক্তি পান। মামলাটি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদ ন্তের ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর বিশেষ ট্রাইব্যু নাল ৪/২২ নং মামলা হিসেবে বিচার শুরু হয়। এ মামলায় আব্দুল আজিজ ও সুরত আলী পলাতক ছিলেন।

সোমবার ঢাকার কাউন্টার টেরিজম সেলের অতি রিক্ত পুলিশ সুপার কানিজ ফতেমা ও পুলিশ পরিদ র্শক কবীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ তাদেরকে শ্যাম নগরের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।

শ্যামনগর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান,আন্তজার্তিক আপরাধট্রাইব্যুনালের ৪/২২ নং মামলার পলাতক আসামী হিসেবে আব্দুল আজিজ ও সুরত আলীকে সোমবার কাউন্টার টেরি জমইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারে কানিজ ফতেমার নেতৃত্বে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *