ডেস্ক নিইজ:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপের আদলে একটি কর্মশালায় বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কর্মশালা আগামী ৪ অক্টো বর বুধবার বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে (কক্ষ নং-৫২০) অনুষ্ঠিত হবে।

এ কর্মশালা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার এবং জুম অ্যাপের মাধ্যমে সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হবে।

প্রযুক্তির সহায়তায় সভায় যুক্ত হয়ে সুধীজ নের বক্তব্য শুনতে পারবেন আমন্ত্রিত রাজনৈতিক কর্মীরা। তবে তারা কোনো কথা বলতে পারবেন না।

নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসে ইসির স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দলগুলোসহ অংশীজন কারো সঙ্গে আর কোনো সভা বা সংলাপে মিলিত না হওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে ইসির। তাই সুশীল সমাজের সঙ্গে সভাটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূণ। কারণ ভোটের আগে বড় পরিসরে এটাই শেষ সভা।

জানা গেছে, আসন্ন সংলাপে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক ইসি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও সিনিয়র সাংবাদিক। এসব বিশিষ্টজন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন, যা প্রযুক্তির সহায়তায় ডিভাইসের মাধ্যমে নিজ জেলায় অবস্থান করে শুনতে পারবেন আমন্ত্রিত রাজ নৈতিক কর্মীরা।

কিন্তু তাদের মুখ থাকবে বন্ধ। এ লক্ষ্যে ইসির জেলা নির্বাচন কমকর্তারা নিবন্ধিত প্রতিটি দল থেকে একজন করে রাজনৈ তিক কর্মীকে নির্ধারিত দিনে উপস্থিত থেকে অভিজ্ঞতা অর্জ নের জন্য চিঠি দিয়েছেন। ইসির জনসংযোগ শাখার পরি চালক মো. শরিফুল আলম এমন একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ বিষয়ে এক দিনের একটি কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

জানা গেছে, কর্মশালায় আলোচক হিসেবে সাবেক সিইসি ড. এ টি এম শামছুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ ও বেগম কবিতা খানমের থাকার কথা। এছাড়া ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী, যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার ও খোন্দকার মিজানুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের মধ্যে নাঈমুল ইসলাম খান, ইসতিয়াক রেজা ও পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযো গাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফের দৌস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদি কতা বিভাগের প্রফেসর ড. এস এম শামীম রেজারও আলো চক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা।

রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি রোধে প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের ভূমিকা কী হতে পারে, পোলিং এজেন্ট তার প্রার্থীর পক্ষে আইন ও বিধি অনুযায়ী কীভাবে দায়িত্ব পালন করে ভোটগ্রহণকে স্বচ্ছতা ও প্রভাবমুক্ত রাখ তে পারেন, নির্বাচনের ফলাফলে যাতে জনমতের প্রকৃত প্রতি ফলন ঘটিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা যায়, প্রার্থী কী ধরনের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করবেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, ভোট ভালো হলো কি খারাপ হলো, সেই দায়ভারটা নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায়। কিন্তু আসলে কি তাই? নির্বাচন হচ্ছে একটি টিমওয়ার্ক। যে টিমের মধ্যে অনেকেই আছেন।

তার মধ্যে রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার, পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আছেন। নির্বাচনে সবারই দায়িত্ব থাকে। তিনি বলেন, প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে একজন পোলিং এজেন্ট থাকেন।

পোলিং এজেন্ট যদি সেখানে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে ন, তাহলে কি সেখানে কোনো অনিয়ম হতে পারে? সবাই যদি সহযোগিতা করে, তাহলে কিন্তু একটি অবাধ, স্বচ্ছ নির্বাচন করা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *