মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
জুয়া খেলতে নিষেধ করায় ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে আপন চাচার গাছী দায়ের কোপে ভাইপো ও তার স্ত্রী গুরুতর জখম হয়েছে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাদেরকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো-উপজেলার ছোট ধোপাধী গ্রামের মুরাদ মন্ডলের পুত্র শিমুল হোসেন (৩৫) ও তার স্ত্রী কাকলী খাতুন (২৮)।

সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের ধোপাধী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

হাসপাতালে ভর্তি আহত শিমুল হোসেন জানায়, তার চাচা মহসিন মন্ডল প্রায়ই তাদের বাড়ীর পাশের্^ লোকজন
নিয়ে জুয়া খেলার আসর বসাতো।

প্রতিনিয়ত খেলা নিয়ে জুয়াড়ীদের মধ্যে বিবাদ গন্ডগোল লেগেই থাকতো। ওইদিন সোমবার সন্ধ্যায় জুয়া খেলা নিয়ে জুয়াড়ীদের মধ্যে বিবাদ হট্টগোল শুরু হয়।

এ সময় শিমুল এগিয়ে গিয়ে তার চাচাকে জুয়া খেলা বন্ধ করতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা মহসিন ও তার সন্ত্রাসী পুত্র রতন ঘর থেকে গাছী দা এনে শিমুলের মাথায় ও হাতে কোপায়।

এ সময় শিমুলের চিৎকারে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার স্ত্রী কাকলীকেও উপর্ষপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। পরে প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে
ভর্তি করে ।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর আরএমও ডাঃ মাঝহারুল ইসলাম জানায়, হাসপাতালে ভর্তি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রী কাকলী খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক। ধারালো অস্ত্রের কোপে তার মাথায় ক্ষত স্থানে ৩ টি সেলায় দেওয়া হয়েছে।

তবে, এখন পর্ষন্ত তাদের অবস্থা স্থিতিশিল থাকলেও ২৪ ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত শংকা থাকছেই।হাসপাতালে উপস্থিত ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন জানান, জুয়া খেলা নিষেধ করা নিয়ে আপন চাচার হাতে ভাইপো ও তার স্ত্রী জখম হয়েছে।

তিনি ইতিপূর্বে ওই জুয়া খেলা বন্ধ করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু মহসিন কথা শোনেনী। এলাকার কিছু বখাটে জুয়াড়ীদের নিয়ে খেলা অব্যাহতভাবে চালিয়ে আসছিল।

কালীগঞ্জ থাানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্লা জানায়, মারামারির ঘটনাটি তার জানা নেই। তবে, এখনই খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে যোগ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *