আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনুষ্ঠা নিকভাবে শেষ হয়েছে প্রচার-প্রচারণা।এদিকে প্রচার-প্রচার ণা শেষে নির্বাচনে বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে চেয়া রম্যান জাহাঙ্গীর আলম (কাপ-পিরিচ)।
জানা গেছে, আগামি ৮মে বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহনের জন্য নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছেন। গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়া রম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বীতা করছে।
৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একজন বিএনপি নেতা ও চারজনই আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা।
প্রার্থীরা হচ্ছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (কাপ পিরিচ), পৌর আওয়ালীগ সভাপতি রবিউল আলম (আনারস), উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক ও দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দীন সোহেল (দোয়াত কলম), উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা সুনন্দন দাস রতন (মোটর সাইকেল), জেলা যুবদলের সাবেক সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান মার্কনী (ঘোড়া প্রতীক)।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, উপজেলা যুবলীগের সা বেক সভাপতি শফিকুল সরকার (তালা), গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগে লীগের যুগ্ন সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মা স্টার (চশমা), উপজেলা সেচ্ছাসেব কলীগের সহ সভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল (টিয়া পাখি), হুরেন টুডু (টিউব ওয়েল)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও গোদাগাড়ী মহিলা লীগের সভাপতি সুফিয়া খাতুন মিলি (প্রজাপতি), গোদাগাড়ী মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক কৃঞ্চা দেবী (ফুটবল)। প্রার্থীরা প্রতীক পেয়েই ব্যাপক প্রচার প্রচারণা, সভা সমাবেশের পাশাপাশি বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট চাই।
এবার প্রার্থীরা বেশি বেশি উঠান বৈঠক করেছেন। এতে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।
গত সোমবার রাত থেকে প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। এবার ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকলেও দুই জনের মধ্যে প্রচার-প্রচা রণা ছিল বেশি।
ভোটাররা হিসাব-নিকাশ করে বলছেন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাহাঙ্গীর আলম (কাপ পিরিচ) ও রবিউল আলমের (আনারস) মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে।
আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুই মহিলা লীগ নেত্রীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সমান তালে ৪ জন লড়াই করলেও নির্বাচন পর্যপেক্ষকরা শফিকুল সরকা রকে এগিয়ে রাখছে।
এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, জাহাঙ্গীর এমপি অনুসারী মুল স্রোতের আদর্শিক, পরিক্ষিত নেতৃত্ব এবং চেনা পথ।
তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও জনপ্র তিনিধি হিসেবে তিনি ৫ বছরে প্রতিদিন যদি ৫ জন করে মানু ষের উপকার করে থাকেন।তাহলেও তো তিনি ৫ বছরে ৯ হাজার ১২৫ জন মানু ষের উপকার করেছেন।
সেই বিবেচনায় এই মানুষগুলো তো ভোটের মাঠে এখানো তার পক্ষে রয়েছেন। আর যদি তারা দুটি করেও ভোট করে ন, তাহলেও তার প্রায় ২০ হাজার রিজার্ভ ভোট রয়েছে।
এই বিবেচনায় প্রতিপক্ষদের কি আছে, কি বিবেচনায় মানুষ তাদের ভোট দিবেন ? অধিকাংশ প্রার্থী এই হিসেব মেলাতে গিয়ে কর্মী সংকটে মানষিকভাবে ভেঙে পড়ে নির্বাচনে প্রতি দন্দিতা করার মনোবল হারিয়েছেন বলে নেতাকর্মীরা মনে করছে। অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযো গী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাহাঙ্গীরকে বিজয়ী করতে কোমর বেঁধে একট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন।
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বোধদয় হয়েছে এটা স্থানীয় নির্বাচন ক্ষমতা পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। কাজেই সরকারি দলের অদৃশ্য সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
যার জ্বলন্ত উদাহ রণ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।বিগত রাজশা হী সিটি নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর বিপ ক্ষে ভোট দিয়ে বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করে কিভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছিল রাজশাহীর মানুষ সেটা ভুলেনি।
এই বিবেচনায় গোদাগাড়ী উপজেলার মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে কোনো ব্যক্তি নয়, সরকারী দলের অদৃশ সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় চাই। কারণ হিসেবে তারা বলছে, স্থানীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, উন্নয়ন ইত্যাদি এমপিদের নিয় ন্ত্রণে, কাজেই এমপি অনুসারীদের বঞ্চিত করে এমপি বিরো ধীদের ভোট দেয়া মানে নিজের পাঁয়ে কুড়াল মারা।
এদিকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা অভিমান বা মোহের বসে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল।
তারা সেই ভুল অনুধাবন করে এখন অনু তপ্ত। এবার তারা শপথ নিয়েছে উপজেলা নির্বাচনে এমপির অদৃশ্যে সমর্থিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে তারা তাদের সেই ভুল শোধরাতে চাই।#