রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ ঠাকুরগাঁও দুওসুও (জিয়াখোর) গ্রামের চাঞ্চল্যকর মারপিটের ঘটনায় করা ২ পক্ষের মামলার রায় প্রদান করা হয়।

সোমবার ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার ২ পক্ষের করা মামলায় রায় একইসাথে প্রদান করেন।

৫৭/১২ নং মামলায় বালিয়াডাঙ্গী থানার দুওসুও (জিয়াখোর) গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে মো: মুনসুর আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এ মামলায় অপর আসামী তার স্ত্রী মোছা: লুৎফা বেগমের বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে খালাস প্রদান করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর জিয়াখোর বাজারের পূর্ব পাশে রাস্তা সংলগ্ন দক্ষিণে ছাগল দিয়ে ক্ষেতের শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

এ সময় কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মামলার বাদী মো: আলিম উদ্দীনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের বাম চোখে আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়।

পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও ডায়াবেটিকস হাসপাতালে নিলে ডাক্তার জানায় তার বাম চোখটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

এ ঘটনায় তার স্বামী ওই গ্রামের মো: সইফ উদ্দীনের ছেলে মো: আলিম উদ্দীন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

অপরদিকে একই মারপিটের ঘটনায় ৫৪/১২ নং মামলায় আসামী মো: আলিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১ বছর সশ্রম করাদন্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কান্ডাদন্ড প্রদান করে আদালত।

এ মামলায় অপর আসামী মো: সাদেকুল ইসলাম, মো: খাদেমুল হক ও মোছা আনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের এ মামলা হতে খালাস প্রদান করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর জিয়াখোর বাজারের পূর্ব পাশে রাস্তা সংলগ্ন দক্ষিণে মাটি কাটার কাজ করাকালীন সময়ে দলবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে মারপিটের অভিযোগে ওই গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে মো: মুনসুর আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের মো: সইফ উদ্দীনের ছেলে মো: আলিম উদ্দীন ও তার ছেলে মো: সাদেকুল ইসলাম (২২), মো: খাদেমুল হক (২০), স্ত্রী মোছা: আনোয়ারা বেগম (৩৫) কে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন।

দির্ঘদিন বিচারান্তে একই সাথে ২ পক্ষের করা পৃথক ২টি মামলায় রায় প্রদান করলো আদালত। একই সাথে ২ পক্ষের করা মামলায় রায় প্রদান করায় আদালত এলাকায় চাঞ্ছল্যের সৃষ্টি হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *