রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষক সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়েছে ।
সেই সঙ্গে আবাসনের অভাবে দুর্ভোগ সহ্য করছেন শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা। থাকা-খাওয়ার সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে পারছে না। বর্তমানে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ছাত্রী।
ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে শহরের অদূরে গোবিন্দনগর এলাকায় ২ একর জমির ওপর স্থাপন হয় প্রতিষ্ঠানটি।
এতে কম্পিউটার টেকনোলজি, ফুড টেকনোলজি, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং টেকনোলজি, মেকাট্রনিকস টেকনোলজি ও আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি—এই ৫ বিভাগে ২ হাজার ২শ শিক্ষার্থী আছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫০ জন মেয়ে।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষকের পদ আছে ৮৪টি। এর মধ্যে স্থায়ী পদে কর্মরত মাত্র ৯ জন। সেই সঙ্গে ৩৯ জন অস্থায়ী ও অতিথি শিক্ষক রয়েছেন। নন-টেকনিক্যাল শিক আছেন ১২ জন।
স্থায়ী পদের ক্ষেত্রে কম্পিউটারে ১৪ পদের জায়গায় ২জন, ফুডে ২৮ পদের বিপরীতে দুজন, রেফ্রিজা রেশনে ১৪ পদের স্থলে চারজন ও মেকাট্রনিকসে ১৪ পদের জায়গায় ১ জন শিক্ষক কর্মরত। আর্কি টেকচারে ১৪ পদে ১জন স্থায়ী শিক্ষক নেই।
শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ১জনকে প্রতিদিন স্বাভাবিক ৫টি ক্লাসের স্থলে ২ শিফটে দ্বিগুণ ক্লাস নিতে হচ্ছে।
এতে পাঠদানে শিক্ষকেরা যেমন মনোযোগ রাখতে পারেন না, তেমনি শিক্ষার্থীরা ও মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সংকটের কারণে অতিথি শিক্ষক দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আপে করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের আবাসন ও পরিবহন সুবিধা না থাকায় অনেক টাকা খরচ করে মেসে থাকতে হচ্ছে। এতে তাঁদের লেখাপড়াও ব্যাহত হচ্ছে। মাস শেষে চলতে হিমশিম খেতে হয়।
ইনস্টিটিউটের চিফ ইনস্ট্রাক্টর সঞ্জয় বণিক জানান, ২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা
করা হলেও এখানে শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসন ব্যবস্থা নেই। অধ্যরে জন্য একটি বাসভবন আছে। বর্তমানে আবাসন-সংকট প্রতিষ্ঠানের অন্যতম বড় সমস্যা।
থাকার জায়গা না থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষক শহরে বাসাভাড়া নিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠানের আশপাশে মান সম্মত বাসাবাড়ি না থাকায় শিক ও কর্মচারীরা সেখা নে থাকতে পারেন না।
সার্বিক বিষয়ে কথা হলে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা শিক্ষার্থীদের আবাসন ও শিক্ষ কের সংকট। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা চেষ্টা করছি, শিক্ষার্থীরা যাতে মানসম্মত কারিগরি জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
তবে সবচেয়ে বেশি উদ্বে গজ নক বিষয় হলো, নারী শিক্ষার্থীদের আশানু রূপ ভাবে ভর্তি না হওয়া।
আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় নারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *