রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও: শীতে পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। শীত আসলে ফিরে আসে পিঠা খাওয়ার ধুম।

সেই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে তিনদি নব্যাপী পিঠা উৎসব, যেখানে অংশ নিয়েছেন নারী উদ্যো ক্তাসহ পিঠা শিল্পীরা।

আর পিঠার এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন অনেক পিঠা প্রেমীরাও।

আয়োজকরা বলছেন অব্যাহত থাকবে এই ধরণের উৎসবের আয়োজন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জাতীয় পিঠা উৎসব উপল ক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৩১ জানুয়ারি হতে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন চলবে পিঠা উৎসব।

এরই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁও শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে করা হয় পিঠা উৎসবের আয়োজন, যাতে অংশ নেন স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাসহ পিঠাশিল্পীরা।

শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে আটটি পিঠার দোকান সারি বদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে।

যার মধ্যে রয়েছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, মালপোয়া, মালাই পিঠা, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠা, পাটি সাপটা, দুধ পুলি, পকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নার কেল জিলাপি, তেলের পিঠা, হতের সে মাই, চন্দন কাঠ পিঠা, গোকুল পিঠাসহ আরও বাহারি সব নামের পিঠা।

দোকানে দোকানে ঘুরেফিরে সাজানো পিঠা দেখছেন দর্শনার্থীরা।

পিঠা উৎসবে ঘুরতে আসা পিঠাপ্রেমী আর্নিকা আক্তার মিশু বলেন, পিঠা আমাদের একটি ঐতিহ্য।

পিঠার উৎসব মানেই আনন্দ। এসেছি অনেক ভালো লাগ লো। আশা করি এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবারই এমন উৎসব করা হবে।

এদিকে যেমন সাজানো হয়েছে পিঠার স্টল অপরদিকে এই উৎসব ঘিরে ছিলো সাংস্কৃতিক আয়োজনও। আগামী  ২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে এই পিঠার উৎসব।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সৈয়দ জা কির হোসেন ইমন বলেন, প্রতিবারই বিভিন্ন উৎসব পালন করে থাকে শিল্পকলা একাডেমি।

এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা আগামীতে এ ধরণে র উৎসব অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *