রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও: অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে মোটরসাইকেল নিয়ে দোকানে যাওয়ার পথে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্টের মুখে পড়েন এক মোটর সাইকেল চালক।
এ সময় হাত-পা ধরে মাফ চাইলেও জরিমানা থেকে রক্ষা পাননি তিনি।
তাকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়ে ছে ট্রাফিক পুলিশ।
আর এমন একটি ভিডিও সা মাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটিজেনরা।
রোববার (৩১ মার্চ) ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ী এলাকার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 
এরইমধ্যে ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগা যোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বস্তরে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিডিওতে ভাইরাল হওয়া মোটরসাইকেল আরোহীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফ তরের গেটে র পাশে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক ট্রাফিক পুলি শের এক সদস্যকে দুই হাত জোড় করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনু রোধ করছেন জরিমানা ও মামলা না দিতে।
এ সময় পুলিশ সদস্য পাশে থাকা ট্রাফিকের শহর ও যান বাহন পুলিশের ইনচার্জ আমজাদ হোসেনকে দেখিয়ে দেন।
এরপর ভুক্তভোগী হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে বলতে থা কেন স্যার আমার ভুল হয়েছে, আমার মা অসুস্থ, ওষুধ কেনার জন্য এসেছি, আমার মা মরে যাবে, এবারের মতো মাফ করে দেন।
একপর্যায়ে যুবক ওই পুলিশ কর্মকর্তার দুই পা ধরে ক্ষমা চান।
এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এবারের মতো ক্ষমা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাকে। কিন্তু তবুও যেন তার শেষ রক্ষা হয়নি।
মোটরসাইকেল আরোহীর কান্নার ভিডিও সামাজিক যো গা যোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এরইমধ্যে সুষ্ঠু বিচার ও আইন প্রয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন নেটি জেনরা।
আর যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো গাড়ি চালকের ওপর এমন অমানবিক আচরণ করতে না পারেন সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান পুলিশ সুপারকে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপকর্মসং স্থান বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসাইন পাপন ফেস বুকে লিখে ছেন, ‘আইন মানুষের কল্যাণে তৈরি হয়েছে।
সেই আইনকে পুঁজি করে যদি কেউ মানুষের অকল্যাণে ব্যব হার করে তাহলে সেটা কখনই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হা সিনার এই সুশাসনে মেনে নেয়া যায় না।
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহো দয়ের চোখ কখনোই এ ব্যাপা রটি এড়িয়ে যাবে না।’
ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন মন্তব্য করে ন, ‘এখন সময়ের দাবি, ট্রাফিক ও পুলিশের গাড়ির কাগজ পত্র দেখার নামে হয়রানি বন্ধ করা।
এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের শুভ দৃষ্টি কামনা করছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেকজন লিখেছেন, ‘শক্তের ভক্ত নর মের জম। হাজার হাজার বাস-ট্রাক আছে, যাদের কোনো ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন নাই, গাড়ি ভাঙাচোরা, অথচ রাস্তায় চলছে। ট্রাফিক সার্জেন্ট দেখেও না দেখার ভান করে।
কারণ বাসের মালিক অনেক প্রতাপশালী। একটা মানুষ কতটুকু অসহায়বোধ করলে সার্জেন্টের পা ধরে।’
মোটরসাইকেল আরোহীর বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পুলি শ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আমজাদ হোসেন জানা ন, আইন সবার জন্য সমান।
হাত পা ধরে মাফ চাইলে কি সমাধান পাওয়া যায়। ড্রাই ভিং লাইসেন্স না থাকায় ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপা র উত্তম প্রসাদ পাঠক তার নিজ কার্যালয়ে এক সং বাদ সম্মে লন করে জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত ৮ মাসে জেলা য় সড়ক পরিবহন আইনে ৫১৫২টি মামলা হয়েছে।
এ সব মামলায় জরিমানা আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৫০ টাকা।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *