মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ নওগাঁর রাণীনগরে দখল হয়ে যাওয়া খাল উদ্ধার না করে পানি নিষ্কাশনের জন্য যত্রতত্র ভাবে ড্রেন নির্মাণে ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা।
উপজেলার ত্রিমোহনী হাটে অপরিকল্পিত ভাবে পানি নিষ্কা শনের জন্য নির্মিতব্য ড্রেনে তেমন একটা সুফল না পাওয়া রও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বরং ড্রেনের পাশ দিয়ে অবৈধ দখলে থাকা খালটি উদ্ধার করে পুন:খনন করার দাবী এলাকাবাসী দের।
উপজেলার চককুতুব গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা মোকশেদ আলী মন্ডলবলেন ছোট যমুনা নদী থেকে প্রায় ১কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রেএকটি খাল ত্রিমোহনী বাজার থেকে কুবরাতলী মোড় হয়ে মন্ডলেরব্রীজ সংলগ্ন খালের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। যে খাল দিয়ে খুব সহজেইপানি চলাচল করতো। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৫- ৭৬সালেও এই খালেজমে থাকা পানি দিয়ে শত শত হেক্টর জমিতে সেচ দিয়ে চাষাবাদকরা হয়েছে।
এছাড়া অত্র অঞ্চলের বাড়িতে ও হাটে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত পানি সেই খাল দিয়ে ছোট যমুনা নদীতে খুব সহজেই চলে যেতো। কিন্তু পরব র্তি সময়ে আস্তে আস্তে যে যার মতো করে খালটি দখল করে মাটি দিয়ে ভরাট করে নেওয়ার কারণে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে ছে। ফলে পানি নিষ্কাশনের সহজ পথ বন্ধ হওয়ার কারণে
বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার।
বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী ত্রিমোহনী হাটসহ আশেপাশের অঞ্চ লের পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় কৃত্রিম জলাব দ্ধতার। ফলে বছরের পর বছর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রে তাসহ আশে পা শের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন যদি নকশায় থাকা খালটি পুনরায় উদ্ধার করা যেতো তাহলে এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের জন্য চৌ দ্দমুল্লক ঘুরে অপরিকল্পিত ভাবে দায়সারানো ড্রেন নির্মাণ করার প্রয়োজনহতো না। বর্তমানে ত্রিমোহনী স্কুলের উত্তর দিকে থেকে হাটেরপাশ দিয়ে দীর্ঘপথ ঘুরে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে সরু ড্রেননির্মাণ করা হচ্ছে সেই ড্রেন দিয়ে শুষ্ক মৌসুমেই পানিচলাচল করা কঠিন হয়ে যাবে। এছাড়া এই পানি সরাসরি কৃষকে রজমিতে পড়ার কারণে জমিতে চাষা বাদ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এছাড়া খাল উদ্ধার না করেও যদি স্কুলের পাশ দিয়ে সোজা ছোট যমুনা নদী (প্রায় ১শত মিটার দৈর্ঘ্য) পর্যন্ত একটি বড় আকারের ড্রেন নির্মাণ করা যেতো তাহলে খুব সহজেই পানি নিষ্কাশন হতো। এতে করে স্থানীয়রা অনেক উপকৃত হতো।
গ্রামীণ পর্যায়ে যদি সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মানসম্মত ভাবে বাস্তবায়ন করা যেতো তাহলে খুব কম সম য়ের মধ্যেই শহরের সকল সুবিধা গ্রামে গ্রামে পৌছে যেতো।
কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহ মান বাবু মোবাইল ফোনে জানান এই ত্রিমোহনী হাট থেকে সরকার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও বছরের পর বছর সংস্কার না করায় হাটের যাবতীয় অবকাঠামো দিন দিন চাহিদা হারিয়ে ফেলছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে হাটুরী ও ক্রেতাদের বৃষ্টিতে ভিজে হাটে কেনাকাটা করতে হয়।
বর্তমানে হাটের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে তা সময় ও চাহিদার সঙ্গে যথোপযুক্ত নয়। খন্ড খন্ড ভাবে ড্রেন নির্মাণ না করে যদি সরাসরি নদী বরাবরএকটি বড় আকারের ড্রেন নির্মাণ করা হতো তাহলে তা হাটসহ
অত্র অঞ্চলের জন্য খুবই ভালো হতো।
উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন ত্রিমোহনীতে
পরিকল্পনা মাফিক ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। আর যেহেতু সরকারি খাল আমাদের আওতার বাহিরে সেহেতু সেটি উদ্ধারের দায়িত্ব আমাদের নয়। তবে ছোট যমুনা নদী পর্যন্ত একটি বড় আকারের ড্রেন নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।