আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :সান্তাহার রেলওয়ে থানা ছাগল কাণ্ডের জেরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রির্পোটার শফিক ছোটনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ সময় লুঙ্গি ও গেঙ্গি পড়া নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ কনষ্টেবল পরিচয় দিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগাজায় করে তার হাত থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানালে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি দু:খিত। এ ঘটনায় রেলওয়ে পাকশী সার্কেল ফিরোজ আহম্মেদ কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই পুলিশ কনষ্টেবল নুরুল ইসলামকে পাকশী পুলিশ লাইনে প্রত্যহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যন্যাদের তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা জিআরপি থানার সামনে মৌন প্রতিবাদ কর্মসুচি পালন করে। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, দেশে বর্তমান একটি নাজুক পরিস্থিতিতে বিরাজ করছে। সারাদেশে নাশকতামুলক নানা অপতৎরতা অব্যহত রয়েছে। এ সব অপতৎরতা প্রতিরোধে সাংবাদিক, পুলিশ এক হয়ে কাজ করছে ঠিক সেই মুহুর্তে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই থানার ওসির নির্দেশে পুলিশ ছাগল আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়েছেন সেই সংবাদ দেশের জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হবার পর থেকে ওই থানা পুলিশ সাংবাদকদের তথ্য প্রদানে নানা তালবাহান করছে। এতে সাংবাদিকরা ধরনা করেন ছাগল কান্ডেরপর এমন কাজ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে লাঞ্ছিত হওয়া সাংবাদিক শফিক ছোটন জানান, শুক্রবার সকালে জানতে পেলাম জয়পুরহাটের দুটি ট্রেনের অগ্নি সংযোগ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এরপর ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করতে রেলওয়ে থানায় যায়। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ কনষ্টবল ফেরদৌস আটককৃতদের বিষয়ে আমাকে তথ্য প্রদান করে।

 

পরে থানা ফটকের ছবি নেওয়ার সময় লুঙ্গি ও গেঙ্গি পড়া কনষ্টবল নুরুল ইসলাম এসে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তার আরও দুই সহকর্মী সহ তারা আমাকে অকর্থভাষায় গালিগালাজ করে এবং মুঠোফোন কেড়ে নেয় । এ ঘটনায় সুষ্টু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবী জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *