মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
তবে ভোটের আলাপ শুরু হয়েছে আরও আগ থেকে। এই আলাপচারিতায় লোকজন এবারও ঝিনাইদহ-৪ (ঝিনাইদহ আংশিক-কালীগঞ্জ) বর্তমান সংসদ সদস্য, উপজেলা আও য়ামীলীগের সভাপতি, বাংলাদেশ-মরক্কো সংসদীয় মৈত্রী গ্রæ পের সদস্য ও ভূমি মন্ত্রনালয়ের সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে আশা করছেন।
সাধারণ মানুষ বলছেন, এমপি আনার এলাকার উন্নয়নে পরীক্ষিত নেতা। তিনি গত ১০ বছরে যে পরিমান উন্নয়ন করেছেন তা অন্য কোনো সরকারের আমলে হয়নি।
এ কারণে আমরা আবারও তাকেই নির্বাচিত করতে চাই।
জানা গেছে, এই আসনে এবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ১৪ জন আও য়ামী নেতা। এ দিক থেকে ফের আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছেন দুই বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার।

গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলা রির্টানিং কর্মক র্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া মাত্রই শুরু করে ছেন প্রচার-প্রচারণা। এদিন দুপুর থেকে শুরু হয়েছে সকল দলের মাইকিং। তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিরা তাদের নৌকা প্রতীক সম্বলিত ফেস্টুন ও বিলবোড আগে থেকে তৈ রি রাখার সুবাদে প্রথম দিনই বিভিন্ন জায়গায় সেটে দিয়ে ছেন। তবে আওয়ামীলীগের যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, তারা দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তাদের মধ্য থেকে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল মান্নানের ভাই ও কালীগঞ্জ উপ জেলা শাখার বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদ খোকন ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত আব্দুর রশীদ খো কন এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন এ বং নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। জানা গেছে তার পক্ষ নিয়েছেন আওয়ামীলীগের এক অংশের নেতা-কর্মিরা।

আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এমপি আনোয়ারুল আজী ম আনারসহ, ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ খোক ন, জাতীয় পার্টির সমর্থীত দলীয় প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের ইম দাদুল হক বাচ্চু, তৃর্ণমূল বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী ও সাবে ক সংসদ সদস্য নূরউদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র প্রার্র্থী নজরুল ইসলাম ছানা এবার এ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা কর ছেন। তবে তাদের জনপ্রিয়তা খুব একটা লক্ষনীয় নয়।

ঝিনাইদহের ৪টি ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটা ররা বলছেন, দেশ স্বাধীনের পর ঝিনাইদহ-৪ আসনে এমপি আনার এবার দিয়ে ৩ বারের নৌকার মাঝি।
তার আগে এ আসন থেকে অনেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তবে এমপি আনারের মতো এতো উন্নয়ন কেউ কর তে পারেনি। তিনি একদিকে যেমন একজন গুনি খেলোয়ার, অপরদিকে উন্নয়নের রূপকারও বটে। সবমিলে এবারও তার পাল্লা ভারি বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বর্ষিয়ান আওয়ামী নেতা এসএম জাহঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু, যুগ্ন-সম্পাদক, ইউপি চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু সহ একা ধিক নেতৃবৃন্দ জানান, এমপি আনার এলাকার উন্নয়নে এক জন পরীক্ষিত নেতা।

তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে সরকারিভাবে অসংখ্য উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যক্তি গতভাবে বহু মানুষকে আর্থিক সহায়তা করেছেন। বিশেষ করে তার দেওয়া নিজেস্ব অর্থায়নে সংসদীয় আসনের বি ভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, রো গীর চিকিৎসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দান করেছেন।

ঝিনাইদহ-৪ সংসদীয় আসনের সাধারন মানুষের কথা বললে তারা জানায়, দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই এই এলাকাটি ছিল অবহেলিত। কোন উন্নয়ন দেখা না মিললেও গত ২০১৪ সা লের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি আনার নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর নির্বাচনী এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করার পাশাপাশি শত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তার সমগ্র নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নসহ এই এলাকার মাটি ও মানুষের অবকাঠামোগত উন্নয়নে এলাকাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তনে তিনি বিরামহীন ছুটে চলা এক যোদ্ধা। তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উন্নয়নমূলক কাজে তার আন্তরিকতার কোন কমতি দেখা যায়নি। নির্বাচনী এলাকাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন।

এলাকার উন্নয়নে বাস্তবায়ন করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।
এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রাস্তঘাট, শতভাগ বিদ্যুৎ সং যোগ, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, শেখ রাসেল মিনি ডিজিটাল ল্যাব, মাদ্রাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণ, মসজিদ, মন্দির, হাসপাতাল, গোরস্থান, ঈদগা সংস্করন, সে তু, হাটবাজার, মুক্তিযোদ্ধা নিবাস, ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ, খাল খনন ও পানি ব্যবস্থাপনা, নির্বাচনী এলাকার প্রবাহিত নদিরগুলোর উপর সেতু সহ সকল প্রকার টেকসই উন্নয়নগুলো আজ দৃশ্যমান।

উন্নয়নের জাদুকর এমপি আনারের জাদুস্পর্শে সকল প্রকার সড়কের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনার সেহ্নভাজন এমপি আনার এলকার উন্নয়নে প্রচেষ্টার কোনো ত্রæটি নেই। গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার বড় আশ্রয়স্থল উপজেলা হাসপাতালকে ঢেলে সাজিয়েছেন।

শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকল্পে জো রালো ভূমিকা রাখছেন। রাজপথের লড়াকু সৈনিক এমপি আনার শুধু নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নেই সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষ তার পরিচয় দেননি, রাজপথ, সংসদ ও রাষ্ট্রের ক্রান্তিকালে নিজ জীবনের ঝুঁকি নিতে পিছপা হননি।
ছাত্রজীবন থেকে গণতা ন্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে রাষ্ট্রীয় স্বাধী নতা ও অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরু দ্ধারে র সংগ্রামে সব সময় গণ আন্দোলনের সম্মুখ কাতারে থেকে ছেন। তিনি একজন স্প ষ্টভাষী।
শত বিরোধিতার মুখেও নিজ কর্তব্যে দৃঢ় একজন উচ্চ মার্গে র রাজনৈতিক নেতা। শত প্রতিবন্ধকতা পদদলীত করে আবা রো নির্বাচনী এলকার মানুষের প্রত্যাশা পূরনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় এমপি আনার।
এ ধরনের নানা জনকল্যাণকর কাজের করণে তার জনপ্রিয় তা সকল প্রার্থীর শীর্ষে। আমরা আশা করছি, এ অঞ্চলের মানুষ এলাকার উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আবারও তাকেই বিজয়ী করবেন।

ঝিনাইদহ-৪ আসন মুলত কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনি য়ন,  ১টি পৌরসভা এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নল ডাঙ্গা, ঘোড়শাল, ফুরসনিন্দ ও মহারাজপুর ইউনিয়ন নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত।

এই আসনে বর্তমানমোট  ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *