রহমত আরিফ  ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি বছর ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে মিলছে না দাম। অথচ ভুট্টা দিয়ে তৈরি নানাবিধ খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। আর এ সুযোগে ভুট্টা মজুত করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন বলে অভিযোগ কৃষকদের।

ঠাকুরগাঁও জেলার নারগুন, জগন্নাথপুর, সালন্দর ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নসহ জেলার আশপাশের ইউনিয়নগুলোতে চলছে ক্ষেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহের কাজ।
উৎপাদন খরচ তোলার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত লাভের আশায় মাঠে শ্রমিক দের সঙ্গে ভুট্টা সংগ্রহের কাজ করছেন অনেক কৃষক।
নিজের শ্রমে জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহের পর চাতালে শুকিয়ে বস্তাবন্দি করে বিক্রি করছেন।
তবে গত বছরের তুলনায় বাজারে এবার ভুট্টার দাম ভালো না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
তারা বলেন, এক বিঘা জমিতে ভুট্টা উৎপাদনে খরচ হয়েছে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। পাশাপাশি বরগা চাষিদের ক্ষে ত্রে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
এর বিপরীতে বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ মণ ভুট্টা।
সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
স্থানীয় কৃষকের অভিযোগ, ভুট্টা দিয়ে মুরগি ও পশুর খাদ্য সহ নানাবিধ খাদ্য তৈরির পর চড়া দামে বিক্রি হলেও কা ঙ্ক্ষিত দাম না মিলছে না ভুট্টার।
আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। তাই সরকারিভাবে ভুট্টার দাম নির্ধারণের দাবি তাদের।
চাষিরা আরও জানান, গত বছর প্রতি বস্তা অর্থাৎ দুইমণ ভুট্টা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। আর বর্তমানে সেই ভুট্টা বিক্রি করতে হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।
এদিকে বাজারে ভুট্টার কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ার কথা স্বীকার করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাজারে ভুট্টার দাম পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ভুট্টা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি বছর ৩৬ হা জার ৭৭৩ (চলমান) হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমা ত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কিন্তু আবাদ হয়েছে ৩৮ হাজারেরও বেশি জমিতে। এ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে।
 রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও
০১৭৪০৮৬১০৮০
One thought on “ঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টার বাম্পার ফলন  ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *