আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমে জ শেষ না হতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগাম হাওয়া বইছে।
এতে ফের জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঢের বাকি থাকলেও।
বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সাম্ভব্য প্রার্থীরা। ইতমধ্যে বিভিন্ন কৌশলে বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মীয়-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও খেলা-ধুলার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান  গ্রহণ যোগ্যতা তুলে ধরে নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায় ও ভোটার দের মধ্যে জনমত গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তৃণমূলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ নিজ নিজ পচ্ছন্দের প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরে চায়ের কাপে ঝড় তুলেছে।
উপজেলা সদর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলের প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে চলছে জম্পেশ আলো চনা।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তানোরে নৌকার ভরা ডুবি হয়েছে। এতে নৌকাবিরোধী হিসেবে পরিচিত আও য়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা নতুন স্বপ্ন দেখছে।
তারা নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন করে মাঠে নেমেছে। এবার তারা তাদের সমর্থিত প্রার্থীর বিজয়ের ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে যেখানে নৌকার জয়জয়কার সেখানে তানোর পৌরসভায় নৌকার স্মরণকালের সর্ববৃহত পরাজয় ঘটেছে।
অন্যদিকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও এমন নৌকা ডুবির ঘটনা।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নৌকাবিরোধীদের বিজয়ী হতে আশাবাদী করে তুলেছে।
তাদের অভিমত, এমপি ফারুক চৌধুরী একজন আদর্শিক, পরিক্ষিত হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা।
দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে এখা নো তিনি সমান জন প্রিয়। অথচ ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতিকের দুর্বল প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর কাছে পরাজিত হয়েছে।
সেই বিবেচনায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তাদের বিজয়ী হতে বাধা নাই বলে তারা মনে করছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে অগ্নি পরীক্ষা দিতে হবে।
এদিকে একটি অসমর্থিত সূত্র জানায়, তানোরে আসন্ন উপ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, ভাইস-চেয়ারম্যান সোনীয়া সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন এবং আবুল বাসার সুজন।
অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুস সালাম  ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলামের মধ্যে থেকে যেকোনো একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
ওদিকে বিএনপি থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পা দক মফিজ উদ্দিন, মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সভাপতি মো জাম্মেল হক ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান।
তবে তাদের নিয়ে সাধারণের মাঝে আলোচনা রয়েছে, তা দের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, এবার তারা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরু দ্ধে একজন শক্তিশালী প্রার্থী দিবেন। #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *