তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন পর পদ বঞ্চিত নৌকাবিরোধীরা নৌকা ডোবাতে ফের তৎপর হয়েছে।
এতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে মুল স্রোতের আদর্শিক, ত্যা গী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
এসব নেতাকর্মীরা এদের বিষয়ে দলের সভাপতি ও প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভা পতি ও মেয়র ইমরুল হক নৌকা প্রতিক নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
কিন্ত্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকার বিপক্ষে ভোট করছেন।
অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল- মামুন ও যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমু খগণ নৌকার বিপক্ষে ভোট করছেন।
অন্যদিকে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এলাকার উন্নয়ন কর ছেন।
অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেয়র সাইদুর রহমান সরাসরি নৌকার বিপক্ষে ভোট করছেন।
স্থানীয়রা বলছে, এর মাধ্যমে তারা সরাসরি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বিরোধীতা করছে।
তাই এদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন তৃণমুল।কারণ হিসেবে তারা বলছে, এদের বি রুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া না হলে তাদের দেখে অন্যরা দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে উৎসাহিত হবে।
স্থানীয়রা বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হবার উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকার পরেও যেখানে এমপি সাইফু জ্জামান শেখর ও আয়েন উদ্দিন প্রমুখগণ দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে এসেছেন, সেখানে গোলাম রাব্বানী কি বিবেচনায় আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে নৌকার বিপক্ষে ভোট চাইছে।
অথচ গোলাম রাব্বানী দুবার দলীয় মনোনয়নে উপজেলা নির্বাচন করে বিএনপির দুর্বল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন।
তাহলে আয়তনের দিক দিয়ে ৮ম বড় নির্বাচনী এলাকায় তিনি এমপি হবার খোয়াব দেখেন কি ভাবে-?
তিনি নিজেও জানেন এম পি নির্বাচিত হতে পারবেন না। তাদের প্রধান টার্গেট যে কো নো মুল্য নৌকার পরাজয় ঘটানো।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্যতার ভিত্তিতে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
তাহলে কোন বিবেচনায় অযোগ্যদের পক্ষ নিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে দেয়া নৌকা ডোবানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আবার এরা আওয়ামী লীগের লোক পরিচয় দিয়ে নৌকার বিপক্ষে ভোট চাইছে এরা কেমন আওয়ামী লীগ।
এরা অনেক আগেই নেতাকর্মীদের কাছে বেঈমান উপাধি পেয়েছেন। এখন তারা এলাকার সাদাসিধে সাধারণ মানুষকে বেঈমানীর পথে টানছেন। #