স্টাফ রির্পোটার,(যশোর): দীর্ঘ ৬ বছর ধরে যশোরের চৌগা ছা উপজেলার স্বরুপদাহ মাধ্যমিক বিদ্যাল য়ে ছয় বছর ধরে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি নেই।
কমিটির গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেই অভিযোগের ফাইলে বন্দী হয়ে পড়ছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া।
একটি চক্রের কখনো অভিযোগ, কখনো মামলার কারণে কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। নিয়মিত ম্যানেজিং কমি টি না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড় ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নানা ধরণের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, স্বরুপদাহ গ্রামের সানোয়ার হোসেন বকুল, মাহবুবুল আলম রিংকু ও আব্দুস সালামেররোষানলে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কারো সন্তান বা পরিবা রের কেউ এখানে লেখাপড়া করে না। অথচ তারা সভাপতি হওয়ার জন্য মরিয়া।
ভোটের মাধ্যমে তাদের কারো সভাপ তি হওয়ার সুযোগ নেই। সাধারণ অভিভাবক, শিক্ষকরা কেউ তাদের সমর্থন করেন না। সেই কারণে তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে বার বার কমিটি গঠনে বিপক্ষে অবস্থান নেন। কখনো মামলা বা কখনো ছোট-খাটো ইস্যুকে বড় করে টেনে ভোট গ্রহণের পথে বড় অন্তরায় সৃষ্টি করেন।
সর্বশেষ আগামী ৫ মে ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২১ মে চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইস্যুকে সামনে নিয়ে তারা ভোট গ্রহণের বিপক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন।
স্থানীয় নির্বাচনে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বা কোনসমবায়-সমিতির নির্বাচন বন্ধ করার কোন বিধান নেই। কিন্তু ওই চক্রের ষড়যন্ত্রের জন্য এবারও ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য জহুরুল ইসলাম বাবু বলেন, বকুল, রিংকু ও সালাম চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে স্কুলটি।
তাদের পরিবারে কোন সন্তান এখানে লেখাপড়া করে না। বকুল ও সালাম পরিবার নিয়ে চৌগাছায় থাকে ন।
প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের কোন ভালবাসা নেই। ম্যানেজিং কমিটির ভোটের সময় হলে তারা বিভিন্নভাবে টালবাহানা শুরু করেন। নিজেরা কোন উন্নয়ন-অগ্রগতির সাথে থাকেন না। তারা তিনজনই পর পর তিন টার্ম সভাপতি ছিলেন নিয়ো গ বাণিজ্য, দুর্নীতি ছাড়া কিছুই করেননি।
জনসমর্থন হারিয়ে তিনজন এক হয়ে সব সময় ভোট বন্ধের পক্ষে অবস্থান নেন।
প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে। যার করিগর
হলেন আব্দুস সালাম। তিনি নিজে খুব বেশি সামনে থাকেন না। বকুল ও রিংকুকে ব্যবহার করেন।
কিন্তু মূল কলকাটি তিনিই নাড়েন। এই সালাম এক সময় জাতীয় পার্টি করতেন। তারপর বিএনপিতে এসেছেন।
এখন আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীকে ঢাল হিসেবে
ব্যবহার করছেন। গ্রামের প্রতিটি উন্নয়নে এই চক্রটি বাঁধা সৃষ্টি করে।
ওই গ্রামের সন্তান সরোয়ার উদ্দিন যশোর জিলা পরিষদে চাকরি করেন। তিনি একজন ভাল মানুষ।
মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থাকেন। গ্রামের উন্নয়নে তার ভাল ভূমিকা রয়েছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বা হী কর্মকর্তা ও সদস্যদের অনুরোধ করে বিভিন্ন সবাই ভোট চান। ভোটের মাধ্যমে যিনি সভাপতি হবেন তাকে সবাই মেনে নেবেন। দ্রুত ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করার জন্য তিনি উপজে লা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা বলেন, বর্তমানে স্বরুপদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অডহাক কমিটি তে আমি সভাপতির দায়িত্বে আছি।
মাত্র কিছুদিন আগে শিক্ষাবোর্ড থেকে আমাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপজে লা পরিষদ নির্বাচনের পরে আশা করা যায় নিয়মিত ম্যানে জিং কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে।
দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চৌগাছার স্বরুপদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত গর্ভনিং বডি হচ্ছে না