নিজস্ব প্রতিবেদক,যশোর:প্রবাসী আমিনুর রহমানের স্ত্রী শাহানাজকে অতি বিশ্বাস ও ভালবাসার কারনে তারজীবনের সবই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ তিনি স্ত্রীসহ জীবনের অর্জিত নগদ টাকা,স্ত্রীর দেয়া স্বর্ণালংকার হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন।

তার এই সুখের সংসারে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে যশোরের চৌগাছা বাজারের ইলেট্রিক ব্যবসায়ী প্রতারক লিপু খান জীবন।

প্রবাসী আমিনুরের স্ত্রী এক সন্তানের জননী শাহানাজ কে ফুঁসলিয়ে  আমিনুরের তীলে তীলে জমানো  টাকা ও স্বর্ণো লং কার নিয়ে হাতিয়ে সম্প্রতি কালে পালিয়েছে প্রতারক লিপু খান জীবন। ৭ বছবের একমাত্র শিশু সন্তানটি মাকে না পেয়ে পাগল প্রায়।

আজ শনিবার স্থানীয় প্রেসক্লাব চৌগাছায় লিখিত সাংবাদ সম্মেলনে ও প্রশ্ন উত্তর পর্বে কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রবাসী আমি নুর রহমান এ সব অভিযোগ করেন।

তিনি স্ত্রী শাহানাজসহ তার প্রবাস জীবনের অনেক কষ্টের অ  র্জিত নগদ টাকা,স্বর্ণোলংকার ফিরে পেতে প্রশাসের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উপজেলার ছোট দিঘড়ী গ্রামের মৃত তোফাজ্ঝেল হোসেনের ছেলে আমিনুর রহমান(৩৫) সাংবাদিক সম্মেলনে আরও  অভিযোগ করেন আমি গত ১০ বছর পূর্বে উপজেলার তজবীজ গ্রামের জুমার আলী মেয়ে শাহানাজ খাতুনকে ইসলামী শরীয়াহ মোতবেক বিবাহ করি। আমার ১টি ৭ বছরের ছেলে সন্তানও আছে। বিয়ের পর থেকে আমাদের উভয়ের দাম্পত্য জীবন বেশ ভালই চলে আসছিল।

তবে আমার পরিবারে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মালয়ে শীয়যায় যায়। সেখানে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত (৭)ব ছর কর্মরত ছিলাম।আমার স্ত্রী বিশ্বস্ত হওয়ায় আমি মালেয়ে শীয় প্রতি মাসে প্রায় ৮০ হাজার টাকা বেতন পেতাম।

ওই টাকার মধ্যে প্রতি মাসে আমার থাকা ও খাওয়া খরচের টাকা ১৫ হাজার টাকা রেখে বাকি ৬৫ হাজার টাকা করে প্র তি মাসে স্ত্রী শাহানাজের কাছে পাঠাতাম। সে হিসাবে গত ৭ বছরে মোট ৫৪,৬০,০০০/-(চুয়ান্ন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা পাঠায়।

এই টাকার মধ্যে পরিবারে যাবতীয় সংসার চালানোর পরে উদ্বৃত্ত ১,৫০,০০০০/- পনেরো লক্ষ টাকা তার কাছে অবশিষ্ট ছিল।

এছাড়া প্রবাসে থাকা কালীন আমার স্ত্রীকে এক জোড়াস্বর্ণের হাতের রুলী, একটি নেকলেস, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ২টি স্বর্ণের আংটি, একটি স্বর্ণের চেইন দিই। সর্বমোট ৩ ভরী যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ বিশ হাজার টাকা।

তবে দুঃখ জনক হলেও সত্য হঠাৎ করে আমার পরিবারে কালো ছায়া নেমে আসে। আমি প্রবাস জীবন মালয়েশীয়া থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার স্ত্রী শাহাজানকে ফুঁস লিয়ে এবং অর্থের লোভে চৌগাছা বাজার ইলেট্রিক ব্যবসায়ী প্রতারক লিপু খান জীবন,উপজেলার হুদা-হাজীপুর, গ্রামের হাসেম খানের ছেলে গত ১০ মাস পূর্বে আমার স্ত্রীকে বিবাহ করে।

ওই সময় আমার স্ত্রী আমাকে ভূয়া তালাক করে। যার কোন সত্যতা ও বৈধতা আছে কি না জানি না। আমার স্ত্রী,প্রবাসী জীবনের কষ্টে অর্জিত  হাতিয়ে নেয়া নগদ অর্থ ও স্বর্ণালং কার ফিরে পেতে এলাকার গণমান্য ব্যক্তি দের কাছে জানি য়েও কোন ফল পাচ্ছি না।।

অবশেষে এর সুষ্ঠ বিচার পেতে আমি গত ১০/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে চৌগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

লিখিত সংবাদ সম্মলনে আরও অভিযোগ করা হয় বর্তমানে ইলেট্রিক ব্যবসায়ী প্রতারক লিপু খান জীবন, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আমাকে ও আমার পরিবোরের সদস্যদের প্রতি নিয়ত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জীবন নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এখন জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি।  লিপু খান(জীবন) এর পূর্বে আরো  ৪টি মেয়ের জীবন একই নষ্ট করে।

শুধুতাই না সে নিজেকে বিভিন্ন স্থানে প্রসাশনের লোক বলে পরিচয় দিয়ে থাকে ।

 

One thought on “জীবন নামে চৌগাছা বাজারের ইলেট্রিক ব্যবসায়ী প্রবাসী আমিনুরের সুখের সংসারে আগুন জ্বালিয়ে দিলো!”
  1. জীবন নামে চৌগাছা বাজারের ইলেট্রিক ব্যবসায়ী প্রবাসী আমিনুরের সুখের সংসারে আগুন জ্বালিয়ে দিলো!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *