শাহীন সোহেল (যশোর) চৌগাছা প্রতিনিধি:যশোরের চৌগা ছা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের পাশে দিয়ে বয়ে চলা কবতক্ষ নদ খনন করে রাখা পাড়ের মিশ্রিত মাটি বালি সমান করার নাম অবৈধ ভাবে কেটে নিয়ে এনেছেন মাটি বালু ব্যবসায়ী তোতা খান।
সরকারি তহবিলের অর্থ দিয়ে নদী খনন কাজের কন্টাক টারদের চাপে রেখে প্রকাশ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা আইনকে বৃদ্ধা ঙ্গুলি দেখিয়ে ভেকু মেশিন বসিয়ে ৮ থেকে১০ টা ট্র্যাক্টর যো গে দিন রাত মাটি উত্তলোন করে গচ্ছিত রাখা হয়েছে মোবার কগঞ্জ সুগার মিলের অধীনে থাকা শিশুতলা ইক্ষু সংগ্রহ কে ন্দ্রের খোলা মাঠে এলাকাবাসীর কিছু দালাল চক্রের সহযো গিতার মাধ্যম দিয়ে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, সরকারের টাকায় সরকারি নদীর মাটি কাঁটছে তাহলে ব্যবসাদার কিভাবে মাটি নিয়ে যা চ্ছে? আইনের লোকজন কি করছে? আমাদের রাস্তা গু লো ধ্বংস হয়ে গেছে। ধূলোয় আমরা চলাচল করতে পারছি না। গ্রামের ভিতর দিয়ে মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচল করায় শিশু ও বয়স্ক পথচারীরা যে কোন সময় দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে।
এই বিষয়ে চৌগাছা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস মুঠো ফোনের মাধ্যমে বলেন, বেশ কয়েকদিন ঈদের ছুটিতে ছিলাম ছুটি কাটিয়ে এসে বিষয়টি আমি শুনে ছি যে হাকিমপুর ইউনিয়নের চাকলা কোমরপুরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কবতক্ষের পাড়ের মিশ্রিত বালি মাটি অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মাটিকাটা বন্ধ করে দে ওয়া হয়।
জানা গেছে, মৃত আনসার খানের ছেলে অবৈধ বালি মাটি ব্যবসায়ী তোতা খান (৩৫) এর বাড়ি ঝিনাইদাহ কালীগঞ্জের তিলোচাঁদপুর ইউনিয়নের ধলা_দাদপুর গ্রামে।
আরো জানা যায়, অবৈধ বালির ব্যবসায়ী তোতা খান বেশ কিছুদিন যাবত নিজের এলাকায় বালি মাটি ব্যবসা করেন।
এবার যেন খোলস ছেড়ে বাহিরে বেরিয়ে এসেছেন তোতা খান। নিজ জেলা উপজেলা ছেড়ে পাশে যশোরের চৌগাছা উপজেলায় অবৈধভাবে মাটি ব্যবসা শুরু করেছেন কবত ক্ষের মিশ্রিত মাটি বালি উত্তোলন করে।
এতে বিলীন হচ্ছে কবতাক্ষ নদ ও নদীর পাড়ের মাটি। ধ্বংস হচ্ছে সরকারি কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প, হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ।
এদিকে শিশুতলা ইক্ষু সংগ্রহ কেন্দ্র মাঠে মাটি বা লি গচ্ছিত রাখা বিষয়ে কথা বলতে গেলে দালাল চক্রের সদস্য (কুদ্দুস) বলেন আমরা মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের প্রেসিডেন্ট (গোলা ম রসূলের) কাছ থেকে পারমিশন নিয়েছি।
সত্যতা যাচাই করতে জানতে গেলে শিশুতলা ইক্ষু সংগ্রহ কেন্দ্রের সি আই মাসুদ রানা বলেন, আমি ঈদুল ফিতরের উপলক্ষে ঈদের কয়েকদিন আগে জামালপুর গ্রামের বাড়ি ছুটিতে গিয়েছিলাম।
ফিরে এসে দেখি সেন্টারে মাঠে মাটি বালি রাখা হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে আমি তাদের বাধা দিই এবং গাড়ি আটকে রেখে দিয়ে মোবারকগঞ্জ সুগার মিল প্রেসিডেন্টের বিষয়টা জানাই জবা বে (গোলাম রসূল) আমাকে জানান হ্যাঁ তাদেরকে পারমিশন দেয়া হয়েছে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে গাড়ি ছেড়ে দিতে বা ধ্য হই।
এ বিষয়ে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিলের জায়গায় মিশ্রিত মাটি বালি রাখার কোন পারমিশন দেয়ার এক্তিয়ার নাই সুগার মিলের প্রেসিডেন্ট গো লাম রসূল সাহেবের।
তিনি আরো বলেন, যদি কখনো কেউ কোন জিনিস রাখতে চাই তাহলে আমাদের মিল কর্তৃপ ক্ষের কার্যালয় আবেদন করলে তাদের পারমিশন দেয়া হয় ভাড়ার বিনিময়ে। জবাবে বলেন খুব দ্রুত বিষয়টা আমি দেখছি।
One thought on “চৌগাছায় নদীর মাটি রাখার জায়গা ইক্ষু সংগ্রহ কেন্দ্রের মাঠে, জমে উঠেছে অবৈধ মাটি ব্যবসা”
  1. চৌগাছায় নদীর মাটি রাখার জায়গা ইক্ষু সংগ্রহ কেন্দ্রের মাঠে, জমে উঠেছে অবৈধ মাটি ব্যবসা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *