ডেস্ক নিউজ:নির্বাচনের পর হঠাৎ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ছোটাছুটি করছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী যুক্তরা ষ্ট্রের নেয়া পদক্ষেপগুলোর পেছনে ব্যবসায়িক স্বার্থই প্রধান।

নির্বাচনের আগে ভিসানীতির মতো চাপ প্রয়োগ ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মত বিশ্লেষকদের।

২০২২ এর মার্চে ঢাকায় নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই নির্বা চন ঘিরে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আগ্রহ কম ছিল না।

তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূত রাও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেখিয়েছেন নানা তৎপরতা।

নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না এমন আশঙ্কায় ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশ্ন ওঠে পশ্চিমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে।

তবে নির্বাচনের পর অনেকটা উল্টো পথে পশ্চিমাদের অবস্থান।

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেন মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত।

নির্বাচনের আগে ও পরে এমন বিপরীতমুখী আচরণের কারণ কী?

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলে ছেন, জাপান-ভারতের মতো বড় গণতান্ত্রিক দেশ শুভেচ্ছা জানানোয় এ গণতান্ত্রিক দুর্বলতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারছে না মার্কিনিরা।

পাশাপাশি ফিলিস্তিনে গণহত্যায় ইসরাইলকে সমর্থন জানা নোয় নৈতিক শক্তি হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগেও বিভিন্ন দেশে একটি দলের বিরোধিতা করার পর সরকার গঠন করায় তার সঙ্গে কাজ করার নজির রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

পাশাপাশি নতুন সরকারের সঙ্গে বিরোধ রেখে ব্যবসায়িক ক্ষতি করতে চায় না মার্কিনিরা।

মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের মোড়কে হলেও বিশ্বব্যাপী যুক্তরা ষ্ট্রের নেয়া পদক্ষেপ গুলোর পেছনে ব্যবসায়িক স্বার্থই প্রধান বলে মত ড. ইমতিয়াজের।

ভিসানীতি প্রয়োগ বা বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আসার সম্ভাব নাও কম বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষ করা।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক দুর্বলতা মেটাতে দেশীয় রাজ নৈতি ক মহলের কাজ করতে হবে, বিদেশিদের দিয়ে লাভ হবে না বলে মত সবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *