চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
শুক্রবার ২৫ এপ্রিল বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১১ শতাংশ।
সারাদেশের তুলনায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।
এর আগে, শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা ছিল চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড।
তবে আজকের চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা সেই রেকর্ডও ভাঙলো।
এদিকে, অতি তীব্র দাবদাহে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ।
পানির স্থর নিচে নেমে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা অধিকাংশ গ্রামে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। এছাড়া পানি দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না মাঠের সবজি আবাদ।
শুকিয়ে যাচ্ছে সড়কের ধারের বিভিন্ন ফলজ ও বোনজ গাছসহ গাছের পাতা।
অপরদিকে, টানা ১৫ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহে হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলে ও চিকিৎসক রয়েছে ১০০ শয্যার হাসপাতালের অর্ধেক।
সামান্য এই জনবল নিয়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা। গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন শতাধিক রোগী। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তীব্র রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন।
একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, শুক্রবার বেলা ৩টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপ মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসি য়াস।
এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনি আরও বলেন আগামী আরও কয়েক দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে ।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ডা, কিসি ঞ্জার বলেন হিট স্টোক এড়াতে হিট এলাট মেনে চলার পরা মর্শ দিয়েছেন।