আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি আদমদীঘিতে নিন্ম মানের উপকরণ দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান করার অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষব্ধ এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয় নের কোমারপুর গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার কোমারপুর গ্রামের পুরনো কমিউনিটি ক্লিনিকটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে।
সে কারনে নতুন ভবন নির্মানের জন্য আহবান করা টেন্ডারে দেওয়ান মামুনুর রশিদ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজটি পায়।
কাজ শুরুর দিকে ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যব হার করলেও পরবর্তী সময় থেকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছিল ঠিকাদার।
সেখানে এক নাম্বার ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে তিন নাম্বার ইট ও নিন্মমানের সিমেন্ট।
রবিবার ক্লিনিক ভবনের মেঝে ঢালাই কাজে ইটের খোয়া ছাড়া শুধু সিমেন্ট ও বালু দিয়ে ঢালাই কাজ শুরু করলে বিক্ষব্ধ এলাকাবাসী নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়।
ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য জমিদাতা সদস্য আকবর হোসেন বলেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে না। ক্লিনিকের তিন দিকে সিঁড়ি করার কথা থাকলেও করা হয়েছে একদিকে।
একই ধরনের অভিযোগ করে ওই ক্লিনিকের সি এইচ ই পি বিমল কুমার বলেন, প্রথমে ভালো ইট দিয়ে কাজ করলেও পরে খারাপ ইট দিয়ে তারা কাজ করছিল। এলাকাবাসী বাধার মুখে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রাখে।
পরে এলাকাবাসীর অনুপ উপস্থিতিতে তিন নাম্বার ইট ব্যবহার করেই তারা কাজ চালিয়ে যায়।
কোমাপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছিল ঠিকাদার।
সর্বশেষ মেঝে ঢালাই কাজে ইটের খোয়া ব্যবহার না করে সরাসরি মাটির উপড় সিমেন্ট-বালুর ঢালাই দেওয়ার সময় এলাকাবাসী বাধা দেয়। ফলে ঠিকা দার কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে ঠিকাদার দেওয়ান মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করেনি, আমরা নিজে ই বন্ধ করেছি। ইট ভাঁটি থেকেই খারাপ ইট দেওয়ার কারণে কাজ আপাতত বন্ধ আছে।
জন স্বাস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
তবে উপজেলায় থাকা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।