মেহেদী হাসান,স্টাফ রির্পোটার (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছা সরকারী হাসপাতালে এক রোগীর রক্ত পরীক্ষায় ভুল রিপো র্ট প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
রোগীর রক্ত এবি পজেটিভ হওয়া সত্ত্বেও রিপোর্টে বি পজেটিভ উল্লেখ করা হয়েছে।
রক্ত পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত প্রধান মেডিকেল টেকনো লোজিস্ট শামছুর রহমানের ভুলের কারনে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
তবে শামছুর রহমান সম্পূর্ণ দায় তার সহাকারীর উপর চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানাযায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারী সকালে সন্তান সম্ভবনা রজ নী খাতুন (১৮) নামের এক মা চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি হন।
হাসপাতালের নির্দেশনা মোতাবেক সিজারের পূর্বে তার রক্ত পরীক্ষা করতে যান হাসপাতালের ল্যাবে।
রোগীর শরীর থেকে যথারীতি রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষা শেষে রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ বলে রিপোর্ট প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল থেকে ভর্তিরোগীকে ফেরত এনে একটি বে-সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে রোগীর স্বজনরা ওই রিপোর্ট নিয়ে সিজারের জন্য
প্রস্তুতি গ্রহন করেন।
কিন্তু সিজারের ঠিক আগ মূহুর্তে ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকি ৎসক রোগীর নতুন করে রক্ত পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
সেই মোতাবেক ক্লিনিকে পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
কিন্তু সেখানে রক্তের গ্রপ এবি পজেটিভ রিপোর্ট প্রদান করেন।
হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরীক্ষা দু রকম হওয়ায় বেঁধে যায় বিপত্তি।
বিষয়টি স্বজনরা আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য অন্য একটি
ক্লিনিকে পরীক্ষা করলে এবি পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
পরবর্তীতে নিশ্চিতের মাধ্যমে জানা যায় রোগীর রক্তের গ্রপ এবি পজেটিভ। হাসপাতালের রিপোর্টটি ছিল ভুল।
রজনীর চাচাত ভাই আব্দুল হামিদ বলেন, হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট শামছুর রহমান এই ভুল কাজটি করেছেন।
তার ভুলের কারনে নিশ্চিত আমার বোন রোজনীর মৃত্যু হতে পারতো। তিনি এই ঘটনার তদন্তের দাবী জানান।
এ বিষয়ে সামছুর রহামন বলেন,ল্যাবে তহমিনা নামের একজন সহকারী নতুন যোগদান করেছেন।
মূলতঃ সেই এই রিপোর্ট তৈরী করেছে। যার কারনে ভুল হয়েছে। আর ভুল তো মানুষই করে।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ
লুৎফুন্নাহার বলেন, নিঃসন্দেহে এটি মারাত্মক ভুল।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ভুল রিপোর্টের সুযোগ নেই।বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
চৌগাছা সরকারী হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট !