আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : নিয়মনীতির বালাই নাই, এটা যেন আলোর নিচে অন্ধকার।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (টিইও) এর ঘড়ির কাটা কয়টায় যায় এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঁকি দিতে দেখা গেছে সচেতন মহলের মাঝে।

স্থানীয় সংবাদর্মীদের নিকট অভিযোগ আসে ঝিকরগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (টিইও) সেহেলী ফের দৌস সময় মতো অফিসে আসে না ও দুপুর দুটার পর তিনি তার অফিসের দরজা বন্ধ করে শুয়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই তথ্য অনুসন্ধ্যানে দেখা যায়, সরকার ঘোষিত অফিসের সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের সময় উপজেলা পরিষদের ৩য় তলায় অবস্থিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপ স্থিত হয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (টিইও) সেহেলী ফেরদৌসকে।

এছাড়াও উক্ত সময়ে অনুপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার রেহেনা বানু, আসাদুল ইসলাম, সঞ্জয় ঘোষাল, মুম তাহীনা বিলকিস, হিসাব সহকারী বিএম আজাদ হোসেন। তাদের অনুপস্থিত থাকতে দেখে সহকারী শিক্ষা অফিসার নাজমুল হাসান সংবাদকর্মীর নিকট বলেন, উপজেলা প্রাথ মিক শিক্ষা অফিসার এখনো অফিসে আসেননি।

সহকারী শিক্ষা অফিসার আসাদুল ইসলাম সম্ভাবত ট্রেনিংয়ে আছেন। পরবর্তীতে সকাল ১০টার সময় অফিসে উপস্থিত হন সহকারী শিক্ষা অফিসার রেহেনা বানু।

তার অফিসে দেরীতে আসার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি অসুস্থ ছিলাম তাই আসতে দেরী হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (টিইও) সেহেলী ফে রদৌস বলেন, আমি উপজেলার মধ্যে মিটিংয়ে ছিলাম।

আপনি অফিসে গিয়ে আমাকে ফোন দিবেন না। তবে সংবা দকর্মীদের উপস্থিতির খবর তার নিকট তাৎক্ষনিক অফিস থেকে ফোন গেলেও তিনি সংবাদর্মীর উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি আসেননি। তার অফিসের সহকারী শিক্ষাঅফিসারদের ঠিকমত অফিসে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার অফিসে উপস্থিত হওয়ার দিক থেকে প্রথম রেহেনা বানু। তিনি অসুস্থ থাকায় আসতে একটু দেরী হয়েছে।

আর আমাদের অফিসের বাজেটের শেষ দিন হওয়ায় সহ কারী আজাদকে বাড়ী থেকে বাজেটের কাজ গুছিয়ে আস তে বলা হয়েছে। আসাদুল ইসলাম ট্রেনিংয়ে আছে।

সঞ্জয় ঘোষাল যশোর থেকে আসে। আমাদের যশোরের অফিসিয়াল কাজগুলো সেরে আসতে বলা হয়েছে।

মুমতাহীনা বিলকিসের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার পাশে থাকা ব্যক্তিদের নিকট থেকে শুনে বলেন সে সম্ভবত স্কুলের মিটিংয়ে ছিলো।

যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, ঘটনার বিষয় আমি যেহেতু শুনলাম। এখন কি কারণে তার অনুপস্থিত সেটার বিষয়ে তাদেরকে কারণ দর্শানো হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *