রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতাঃ ‘কালো সোনা’খ্যাত পেঁয়াজ বীজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুর গাঁওয়ের চাষিরা।

চলতি বছর জেলায় ২৩ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদ ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত কয়েক বছরে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারও বীজ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষক।

উপজেলার চাড়োল গ্রামে মাঠের পর মাঠে দেখা মেলে সাদা রঙের ফুলে ছেয়ে যাওয়া পেঁয়াজ বীজের ক্ষেত।

এসব ক্ষেত করে শুধু কৃষকেরাই লাভবান হননি, স্থানীয় ?যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

চাষিরা বলছেন, পরাগায়ন না হলে পেঁয়াজ ফুলে পরিপক্বতা আসে না। পরাগায়ন হয়ে থাকে মূলত মৌমাছির মাধ্যমে।

তবে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বীজের ক্ষেতে মৌমাছির আনাগোনা কমেছে। ফলে ঝাড়ু ও হাত দিয়ে কৃত্রিম পরাগায় নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা।

পেঁয়াজের বীজ চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন চাড়োল গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ বছর তিনি প্রায় ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন।

তার উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করা হয় দেশের বিভি ন্ন জেলায়। ফলন ভালো হওয়ায় প্রায় ৪ লাখ টাকা মুনাফার আশা করছেন তিনি।

মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জেলার অন্য কৃষকরাও।

পেঁয়াজ ক্ষেতে দৈনিক ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন স্থানীয় যুবকরা। উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারকে সহা য়তা করছেন। কারও কারও মিটছে পড়ালেখার খরচ।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচা লক (শস্য) আলমগীর কবির বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১১২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদ হয়েছে, যো গত বছরের তুলনায় এক হেক্টর কম। প্রতি হেক্টরে ৯০০ কেজি বীজ হলে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা।

 

One thought on “ঠাকুরগাঁওয়ে২৩ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন সম্ভব”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *