রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে গত দুইদিন ধরে কর্মবিরতি পাল ন করছেন কাউন্সিলররা।
ফলে পৌরসভায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষরা ভো গান্তিতে পড়েছেন।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে কর্মবিরতিতে থাকার বিষয় টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম।
পৌরসভার ১৫ জন কাউন্সিলরের সবাই এই কর্মবিরতি পালন করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, পৌরস ভায় সর্বমোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে তিনজন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর রয়েছেন।
প্রতিটি ওয়ার্ডের কোনোটিতে কোনো উন্নয়ন নেই। রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা।
জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ব্যর্থতার দায় মেয়রকে নিতে হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে।
পৌরসভার হেল্প ডেস্কে সীমাহীন অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের।
আমরা এগুলোর সুরাহা ও জবাবদিহিতা চাই। এর আগে আমাদের কর্মবিরতি থামবে না।
পৌরভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক ইসলাম বলেন, আমা দের মেয়র গত ৩ বছরে ৪৭ বার ঢাকায় গেছেন।
তার সফরগুলো হয়েছে সম্পূর্ণ পৌরসভার খরচে। ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো মেয়রের ইতিহাসে এমনটা নেই।
নিজের ভোগবিলাসে তিনি পৌরসভার টাকা খরচ করেন। এই টাকা তো তার নিজস্ব সম্পদ না। এরকম চলতে থাকলে আমাদের এলা কার উন্নয়ন কিভাবে হবে? আমি আমার ভো টারদের কি জবাব দেব।
ঠাকুরগাঁওয়ের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা লুৎফর বলেন, গত দুইদিন ধরে কর্মবিরতিতে থাকায় পৌরসভার কোনো কাজ করছেন না কাউন্সিলররা।
ফলে সেবা নিতে এসে বারবার ফিরে যাচ্ছেন পৌরবাসীরা। কাউ ন্সিলরদের এই অবস্থান বিপাকে ফেলেছে সবাইকে। দ্রুতই এই জটিলতার সুরাহা চাই।
পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিক বলেন, কয়েক বার আমি জন্ম নিবন্ধনের কাগজ নিয়ে গেলেও কাজ করা তে পারিনি।
জন্ম নিবন্ধন ছাড়া এখন শিশুর টিকা দেওয়া যায় না। আমি কী করবো বুঝতে পারছি না।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা চল ছে। আশাকরি দ্রুতই এর একটা সুরাহা হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের অবস্থান,কর্মবিরতি