মামুন পারভেজ হিরা,নওগাঁ ঃ ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র এলাকা খ্যাত নওগাঁর পোরশা উপজেলার জালুয়ায় মাত্র আড়াই কিলো মিটার. কাদাময় রাস্তা পাকা না করায় চরম দূর্ভোগে পড়ে ছেন এলাকাবাসী।

জনগুরুত্বপূর্ণ পোরশার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জালুয়ার মোড় সরাইগাছি-আড্ডা রাস্তার সংযোগ হইতে পুর ইল ঢোড়াকুড়ি পর্যন্ত এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে সং শ্লিষ্ট ইউনিয়নের শিক্ষার্থীসহ একাধিক গ্রামের মানুষকে বছ রের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের একমাত্র গুরুত্বপুর্ণ গ্রামীণ এ রাস্তাটিতে বর্ষায় একাধিক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্ত ও নালা । ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তাটির কিছু অংশে মাটি ভরাট করা হলেও বৃষ্টির পানিতে সেগুলো ভিজে গিয়ে এবং ট্রাক্টর সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করার কারণে বর্তমানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত ভাবে চার্জার ভ্যান, ব্যাটারি চালিত ভ্যান, ভটভটি, ট্রাক্টর, পাওয়ারটলি সহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। বর্ষায় রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ার কারণে পানি জমা হয়ে থাকায় এসব যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করেন।

এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে পোরশা হাই মাদরাসা কাম উচ্চ বিদ্যা লয়, পুরইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোরশা বড় মাদ রাসা ও তালি মুন্নেছা মহিলা মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যাত য়াত করেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে কাঁদাময় হয়ে পানি জমে থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যেতে পারেন না।

রাস্তাটি দিয়ে বারিন্দা, তাইতোড়, সহড়ন্দ, বড়রনাইল, শেখ পাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষদের পোরশা বাজারে নিয়মিত যেতে হয়। এলাকারজনসাধারনের পোরশা বাজারে যাতায়া তের সহজ কোন রাস্তা না থাকায় দিনের বেলায় খুবই কষ্ট করে যানবাহন চলাচল করলেও রাতে এ রাস্তায়কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।

এতে করে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেক সময় যানবাহন গর্তে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটে এবং দীর্ঘ সময় কাদায় পড়ে থাকতে হয়। এ সুযোগে কাজে লাগিয়ে অটোরি ক্সা,ভ্যানচালকসহ চলাচলরত যানবাহনের চালকরা দ্বিগুন ও অনেক সময় ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছেন।

দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়া দেওয়ার ফলে সর্বশান্ত হচ্ছে সর্বসা ধারণ।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার ফলে সহজে চলাচলের জন্য দ্রুত রাস্তাটি পাকা করণের দাবিজানিয়েছেন এলাকাবাসী।

পুরইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ শাহ্, জালুয়া গ্রামের মোজাহারুল, মহিউদ্দিন, রমজান আলী, পূর্বগ্রামের মহশীন আলী সহ অনেকেই জানান, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পোরশায় বসবাস করলেও আমরা চরমভাবে অবহেলার শিকার।

গ্রামীণ অবহেলিত ও গুরুত্বপুর্ণ এ রাস্তাটি প্রতি বছরেই বর্ষা
মৌসুমে নানারকম গর্ত হয়ে মারণফাঁদের সৃষ্টি করেছে।

শুকনো মৌসুমে আবার ধুলোময়, তারপরও এখনো পর্যন্ত পাকা করণ করা হচ্ছে।তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপজেলার বিভিন্ন বড় রাস্তা সহ অনেক ছোটখাট রাস্তা পাকাকরণ করলেও এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকাকরণ করছেনা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েক বার মাপজোক করে গেলেও অদৃশ্য কারণে রাস্তাটি পাকাকরণ
হচ্ছেনা। সংশিষ্টদের অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি এখনো বেহাল দশায় পড়ে আছে। তাই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণ করতে এলাকাবাসাীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন ।

একই ওয়ার্ডে বাড়ি তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষ দের চেয়ার ম্যান ফজলুল হক শাহ্ চৌধুরী জানান, তেঁতুলিয়া ইউনি য়নের গুরুত্বপুর্ণ রাস্তাটি এবছরই পাকাকরণের কথা, কিন্তু কি কারণে হলোনা তা তিনি সঠিক বলতে পারবেন না বলে জানান। তবে যাতে রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ করা হয়, সে ব্যাপারে তিনি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *