নিজস্ব প্রতিবেদক,তানোর:
রাজশাহীতে কথিত আওয়ামী লীগের নেতা নয়লাল হত্য কা রীদের বিচারের দাবিতে সচেতন রাজশাহীবাসীর ব্যানারে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় মানববন্ধন করা হয়েছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে মহানগরীর নিউ মার্কে টের সামনে সচেতন রাজশাহীবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধন থেকে বক্তারা দাবি করে বলেন, এই হত্যা কান্ডের সঙ্গে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা আ ছে। যার কারণে বছর পেরিয়ে গেলেও এই হত্যাকান্ডের পেছনের প্রকৃত কারণ এখনো উৎঘাটন করছে না পুলিশ।
বক্তারা আরো বলেন, দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নে তা নয়লাল ছিলেন একজন সাদাসিধে মানুষ।
তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নয়লাল কাটাখালীর পৌরসভার শ্যামপুর মহল্লার বাসিন্দা।
ওদিকে কথিত সচেতন রাজশাহীবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন নিয়ে জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, উঠে ছে সমালোচনার ঝড় বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন।
অথচ ফারুক চৌধুরীই প্রথম নয়লালের মুত্যর রহস্য উদ ঘাটনের দাবি জানান।
এদিকে সাধারণ বলছে, আসলে মানববন্ধন করা হয়েছে, না উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে করানো হয়েছে।
কারণ  ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়লালের অর্ধগলিত লা শ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এছাড়াও মানববন্ধন জুড়েই ফারুক চৌধুরী বিরোধী বক্তব্য নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এতোদিন পর সচেতন রাজশাহীবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন কেন ? সচেতন রাজশাহীবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন অথচ সিটি মেয়র, সাংসদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, রাজশাহী সংগ্রাম পরিষদ এমনকি জেলা বা মহাগরের আওয়ামী লী গের কোনো দায়িত্বশীল কাউকে দেখা যাযনি। তাহলে কি এই মানববন্ধন কি সচেতন রাজশাহীবাসীর স্বীকৃতি পায় ?
অন্যদিকে নয়লালের ঘনিষ্ঠরা যখন বলছে, সে কোনো রাজ নৈতিক দলের নেতা নয়, মানসিক রোগী ও ভবঘুরে মাদ কাস ক্ত  তাকে নেতা বলা অমূলক।
তাহলে তাকে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা আঙ্খা দেয়া কত টুকু যুক্তি সঙ্গত ? নয়লাল যদি আওয়ামী লীগের নেতা হন, তাহলে তার কি পদ ছিলো সেটা উল্লেখ করা হলো না কেন ?
এদিকে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) রাজনীতি করেন ফারুক চৌধুরী। তাহলে পবার কাঁটাখালি এলাকার একজন ভবঘুরে কি বিবেচনায় ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতি পক্ষ হয় ?
ফারুক চৌধুরীর মতো এজজন হেভিওয়েট নেতা একজন ভবঘুরে ব্যক্তিকে মেরে তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানহলে পুঁতে রাখ বে এটা বিশ্বাসযোগ্য ?
অন্যদিকে ফারুক চৌধুরীর অনুসারীরা বলছে, যেখানে নয় নালের পরিবার বলছে তাকে হত্যা করা হয়নি, পুলিশের তদন্ত সম্পন্ন হয়নি, সেখানে কথিত মানববন্ধন থেকে কি বিবেচনায় বলা হচ্ছে ফারুক চৌধুরী তাকে হত্যা করেছে, তাহলে নিশ্চয় তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।
তা না হলে ফারুক চৌধুরীর মতো একজন আদর্শিক, পরি ক্ষিত ও হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে কিসের ভিত্তিতে এমন মনগড়া মানহানিকর অভিযোগ উঙ্খাপন করা হলো।
অন্যদিকে তারা বলছে, ওদের দাবি অনুযায়ী যদি নয়নালকে হত্যা করাই হয়ে থাকে তাহলে ফারুক চৌধুরীর বিজয় ঠেকা তে ও নির্বাচনের মাঠে বিতর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে  তার প্রতিপক্ষরাই যে এমন অপকর্ম করবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সকালে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর মালিকাধীন থিম ওমর প্লাজার ম্যানহল থেকে নায়লালের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় পুলিশের দেয়া বক্তব্যনুযায়ী, লাশটি কয়েকদিন আগে হত্যা করে ম্যানহলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
বোয়ালিয়া পুলিশের দেয়া ভাষ্যমতে, ওইদিন সকালে ঘটনা স্থল থেকে তীব্র গন্ধ পেলে নিরাপত্তা কর্মীরা জানায় স্থানীয় প্রশাসনকে। গন্ধের অনুসন্ধান করতে গিয়ে থিম ওমর প্লাজা র ম্যানহোলে লাশ পাওয়া যায়।
মৃতদেহটির পরনে ছিল নীল রঙের জিন্স প্যান্ট ও গায়ে সাদা রঙের পাঞ্জাবি পায়ে জুতা।#
One thought on “রাজশাহীতে মানববন্ধন নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *