মফিজুল ইসলাম  শৈলকূপা ( ঝিনাইদহ) শৈলকুপার হাট বাজারে  পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় মাঠের অপরিপক্ব পেঁ য়াজ তোলা শুরু করেছেন  অনেক কৃষক।
ফলে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে অভিজ্ঞমহল। তবে স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে, টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের মাধ্যমে পেঁয়াজের এই ঘাটতি পূরণ করা হবে।
শৈলকুপার  ধলহরাচন্দ্র, ধাওড়া, মনোহর পুর, পাইকপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা  বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের প্রায় দ্বিগুণ দাম মিলছে। ফলে সময়ের আগে পেঁয়াজ তুলে ফেলা হচ্ছে। আর অপরিপক্ব পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় কিছুটা হলেও দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতারা খুশি।
উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিজুলিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর পেঁয়াজ-রসুনে লোকসান হয়। এবার বাজারে বেশি দাম হওয়ায় পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছি। অসময়ে তুললে উৎপাদন কমে যাবে ঠিক আছে। কিন্তু আমরা তো ভালো দাম পাচ্ছি।’
তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করেছেন উমেদপুর ইউনিয়নের বাহির রয়েড়া গ্রামের কৃষক বকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ পরিপক্ব হলে বিঘাপ্রতি ৭০-৮০ মণ হবে। এখন তুললে বিঘাপ্রতি ৫০-৬০ মণ হচ্ছে।
তবে এই দাম তখন আমরা পাব না। আশা করছি, এবার কিছুটা লাভের মুখ দেখব।’
ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন সংবাদে এক বিঘা জমির পেঁয়াজ তু
বাজারে তিন মণ পেঁয়াজ সাড়ে চার হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখনো তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ রয়েছে।
এমন দাম থাকলে সব পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করব।’চর ধলহরা গ্রামের পেঁচিয়ে চাষি  ইসলাম সদ্দার  জানান তিনি  এবছর ১৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন।
পেঁয়াজের দাম যদি তিন হাজার টাকা করে বিক্রি করতে পারি তাহলে  অনেকটাই লাভ হবে।
হাকিমপুর ইউনিয়নের রাগপাড়া গ্রামের কৃষক আকবর আলী বলেন, ১৫-২০ দিন পর পেঁয়াজ তুললে এক বিঘাতে ১০-১২ মণ বেশি হবে।
তবে এমন দাম তো আর পাব না। তাই ইচ্ছা না থাকার পরও অসময়ে অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুলতে হচ্ছে।
শৈলকুপা বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানা ন, অপরিপক্ব পেঁয়াজ বাজারে না এলে পেঁয়াজের দাম আর ও বেশি হতো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, কৃষকরা অতিরিক্ত লাভের আশায় আগাম পেঁয়াজ তুলে বাজারজাত করছেন।
অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুললে কিছুটা উৎপাদন কমে যাবে। তবে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁ য়াজ উৎপাদনের মাধ্যমে পেঁয়াজের ঘাটতি পূশিয়ে নেওয়া সম্ভব  বলে মনে করি।

শৈলকুপার চরধলহরা মাঠের ছবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *