আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ সান্তাহার রেল জংশন স্টে শন এখন বিনোদন কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অসংখ্য দর্শনার্থীরা এই রেল স্টেশন এবং এর আশেপাশে এসেভীর জমায়।

এই রেল স্টেশন কোন সুন্দর দর্শনীয় স্থান না হলেওবর্তমানে এই রেল স্টেশন দৃষ্টিনন্দিত। দেড়শ বছর আগে স্থাপিত এ স্টেশনটি ২০২৩ সালে সংস্কার করা হয়।

স্টেশন এলাকাজুরে শতাধিক ল্যা ম্পপোস্ট, দুই শতাধিক স্টিক বাল্পের ঝলমলে আলোয় দর্শনার্র্থীদের নজরকারে। ফলে প্রতিদিন শত শত পরিবার বন্ধু-বান্ধব

আত্মীয়-স্বজন এবং প্রিয় মানুষদের সংঙ্গে নিয়ে এখানে ঘুর তে আসেন এবং আলাপচারিতার পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্টেশনের প্লাট ফরমে ও রেল লাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে সেলফি তোলা ও টিক -টোক করা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে অনেকে।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এই দৃষ্টি নন্দিত সান্তাহার রেল স্টেশনে ঈদের দিন থেকে শুরু করে গত ৫ দিন ধরে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করাগাছে।

বিকেল পড়লেই ঘুরতে আসা স্থানীয় দর্শনার্থীর পাশাপাশি সান্তাহার জংশন শহর পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলা শহর, তিলক পুর, আক্কেল পুর, দুপঁচাচিয়া, আদমদিঘী, রানীনগর, আত্রাই
সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষ আবাল বৃদ্ধ ওকিশোর-
কিশোরীরা ভীড় জমাচ্ছেন এখানে।

ভীড়ের কারণে স্টেশনের জনগরুত্বপর্ণ রেলগেটের ভিতর বসছে ফুসকা, চটপটি, ডিম ভাজি কলা,তরমুজ, কটকটি, বারোভাজা, বাচ্চাদের খেলনা বেলুনবাঁশি সহ হরেক রকমের আকরশণীয় দোকান।

এতে করে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। যেকোন সময় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখানে ঘুরতে আসা নওগাঁর ধমুরই হাটের বেলাল হোসেন জানান, পরিবার নিয়ে নওগাঁ পার্কে ঘুরতে এসেছি লাম ছেলে মেয়ে ট্রেন দেখতে চাইলো তাই এখানে এলাম, এখানে অনেককে দেখে বেশ ভালো লাগলো।

নওগাাঁর শিকারপুরের হিৃদয়সহ ৪ বন্ধু জানান, আমরা সান্তা হার রেল স্টেশন ঘুরতে এসেছি এখানে অনেক লোকজন দেখে মনে হয়েছে কনোএক পার্কে ঘুরছি।

এবিষয়ে সান্তাহার রের স্টেশন মাষ্টার মোঃহাবিবুর রহমান হাবিবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ট্রেনে যাতায়েত করতে বহুযাত্রী ট্রেনের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করে ।

অনেক যাত্রী মোবাইলে সেল ফি তোলে এরমধ্যে ট্রেন আসলে তারা চলে যায়।

এতে তাদের কিছু বলার বা বাধা দেওয়ার সময় পাওয়া যায়না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *