আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমীঘিতে মেহের নিগার সোহাগী (২০) নামের এক গৃহবধুকে তার ননদের বিরুদ্ধে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই গৃহবধু মারা গেলে কৌ শলে লাশ শ^শুরালয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ স্বজনরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আদমদীঘি উপজেলার কালাইকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধু মেহের নিগার সোহাগী এক সন্তানের জননী। ওইদিন সন্ধ্যা ৭ টায় আদমদীঘি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া উর রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে ছে।
স্থানীয়রা জানায়, আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউ নিয়নের কালাইকুড়ি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে নাদিম প্রামানিকের সাথে আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের খোকনের মেয়ে মেহের নিগার সোহাগীর প্রায় তিন বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে সোহ গীকে তার স্বামীসহ শ^শুড় বাড়ির লোকজন মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরধরে গৃহবধু মেহের নিগার সোহা গীকে তার ননদ হোসনে আরা আবারো মানসিক ও শারীরি ক ভাবে নির্যাতন করে।
ফলে মেহের নিগার সোহাগী অসুস্থহয়। দুপুরে ওই গৃহবধু বিষপান করেছে বলে তার স্বামী ও শ^শুড় বাড়ির লোকজন প্রচার করে তাকে অসুস্থ অবস্থা য় প্রথমে আদমদীঘি হাসপা তালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়া উর রহমান মেডিকাল কলে জ হাসপাতালে নেয়া পথে মারা যায়।
এরপর তার লাশ কৌশলে ফিরে কালাইকুড়ি গ্রামেশ^ শুরা লয়ে রেখে স্বামী ও তার স্বজনরা পালিয়ে যায়।
বিকেল ৫টায় জানাজানি হলে গ্রামবাসি এসে মেহের নিগার সোহগীর পিত্রালয় ও পুলিশে খবর দেন। নিহতের শাশুড়ি নার্গিস বেগম জানায়, ননদ হোসনে আরার সাথে কথা কাটা কাটি এক পর্যায়ে চুলাচুলির ঘটনা ঘটে।
স্বামী নাদিম প্রমানিকের শ^শুড়সহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নিহত মেহের নিগার সোহাগীর মা নাজমা বিবি জানায়, তার মেয়েকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম নিহ তের স্বামীসহ তার পরিবারের কাউকে না পাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানাযাবে। #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *