চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় আন্তর্জা তিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপজেলা চত্তরে চার দিনব্যা পী গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা ও আমরাই আগামী সংগঠ নের সার্বিক আয়োজনে আজ বুধবার সকালে মেলার উদ্বো ধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনো য়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সময় তিনি বলেন, একুশে ফেব্রু য়ারী বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহা রকারী জনগনের নিকট একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন।
একুশ আমাদের মাথা নত না করতে শিখিয়েছে। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। তিনি বলেন ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলকে পূর্ব পাকিস্থানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোল নরত ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষনে অনেক তরুন শহীদ হন। সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউর, বরকতসহ অসংখ্য শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা মায়ের ভাষাকে পেয়েছি।
মাতৃভাষার প্রতি সকলের আরও বেশি শ্রদ্ধাশীল ও সম্মান দেখাতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলা ভাষা অত্যান্ত সমৃদ্ধ একটি ভাষা। এই ভাষার প্রতি আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। ভাষার ব্যবহারের প্রতি যতœশীল হতে হবে এবং ভাষার মর্জাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে।
প্রধান অতিথি অরো বলেন, তরুনদের উদ্যোগে এমন একটি আয়োজন সত্যিই আমাকে অভিভূত করেছে। আমি তাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন নেতৃ বৃন্দ। একই সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন কলেজ প্রধা নদের সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড.এম মোস্তানিছুর রহমান, চৌগাছা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শফিকুল ইসলাম, এবিসিডি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আমরাই আগামী সংগঠনের সভাপতি আজিমুর রহমান সোহান।
অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান হবিবর রহমান হবি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আনি সুর রহমান, আমরাই আগামী সংগঠনের পৃষ্টপোষক ফিরোজ হুসাইনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উদ্বোধন ও আলোচনা শেষে বৈশাখী মঞ্চে অনুষ্ঠিত একুশ আমার প্রেরণা নামক গীতি আলেখ্য অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক শাহানুর হোসেন।
গ্রন্থমেলাতে মোট ১৭টি স্টলে বিভিন্ন লেখকদের লেখা বই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান আয়োজকরা।