ডেস্ক নিউজ:সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা কিংবা সৌদির ক্লাব আল হিলাল নয়, বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসির পরবর্তী গন্তব্য আমেরিকার মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি। এ খবর জানিয়েছে বিবিসি, গোল ডটকম।

বিবিসি, গোল ডটকম এক প্রতিবেদনে জানায়, মেজর লিগে যোগ দিলে চুক্তির অংশ হিসেবে অ্যাপল ও অ্যাডিডাসের সঙ্গে মুনাফা ভাগাভাগির সুযোগ থাকছে মেসির। এমনকি খেলা ছাড়ার পর নাকি এমএলএসের একটি ক্লাবের মালিকানাও দেওয়া হবে তাকে।

বেশ কিছু যৌক্তিক কারণ বিবেচনা করেই আমেরিকার ক্লাবে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসি। আমেরিকাতে নিজস্ব বাড়ি রয়েছে মেসির, পাশাপাশি সেখানকার লাইফস্টাইলও মানানসই মেসিদের সঙ্গে। মেসি অবশ্য ইউরোপে আরও একটি মৌসুম কাটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউরোপের কোনো ক্লাব থেকে সন্তোষজনক প্রস্তাব না পাওয়ায় ইন্টার মিয়ামিতেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি।

বিশ্বকাপজয়ী মেসি এই প্রথমবারের মতো ইউরোপের বাইরের কোনো ক্লাবে খেলতে যাচ্ছেন। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় ২১ বছরে ৩৫টি শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। বার্সার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ২০২১ সালে ২ বছরের চুক্তিতে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। সেই পিএসজি থেকে এবার মিয়ামিতে যোগ দিতে চলেছেন ফুটবলের এই মহাতারকা।

কদিন আগে সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত জানিয়েছিল, চুক্তির বিষয়ে আল হিলালের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছে গেছেন মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি। তবে এরপরই আবার আলোচনায় ওঠে আসে পুরনো ক্লাব বার্সেলোনাও।

দলবদল বিষয়ক ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানিও জানান, সম্প্রতি বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন মেসির বাবা হোর্হে মেসি। এরপরই হোর্হে মেসি জানিয়েছেন, ‘লিও (মেসি) বার্সায় ফিরতে চায় এবং আমি নিজেও তাকে সেখানে দেখতে পছন্দ করবো।’

মাঝে দুই বছর বাদ দিলে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বার্সেলোনাই ছিল তার ক্লাব ক্যারিয়ারের সব। ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার পর বেশ ক’বারই আর্জেন্টাইন বিশ্বজয়ী জানিয়েছেন, বার্সেলোনায় ফিরতে চান আবারো। কাতালুনিয়ায় মেসি কাটিয়েছিলেন জীবনের ২১টি মৌসুম।

প্রজন্মের অন্যতম প্রতিভাবান খেলোয়াড় থেকে সর্বকালের অন্যতম সেরার তকমাটাও গায়ে লাগিয়েছেন এখানেই। আবারো সম্ভাবনা জাগে পুরনো ন্যু ক্যাম্পে ফেরার। সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয় যখন সৌদি আরবের ক্লাবের প্রস্তাব ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছিন মেসি।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জুন পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে মেসির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *