আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছায় উন্নত সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিনের আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শিমুলিয়া ইউনিয়নের মিশন মোড়ের অনুষ্ঠানে শিমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভা পতি ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মতিয়ার রহ মানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন যশো র-২ (চৌ গাছা-ঝিকরগাছা) আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী, গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজ ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা শাখার সভাপতি গিলবার্ট নির্মল বিশ্বাস।
এসময় তিনি বলেন, নৌকা যার আমরা তার এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা মাঠে নেমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয় নের প্রতিচ্ছবি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে কাজ করে চলেছি। আমি ইতিমধ্যে যশোর-২(চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের ২২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় প্রতিটা গ্রামের প্রতিটা মোড়ে মোড়ে গিয়ে আমার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন আমাকে মনোনয়ন দিবেন তাহলে আমি প্রার্থি হতে পারবো।
ঝিকরগাছা পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলিমুল মৃধার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিকরগাছা সদ র ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শাহীন কবির, উপজেলা তাতীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মন্টু হোসেন, শিমুলিয়া ইউনিয়ন খ্রিষ্টান কেডিট ইউনিয়ন সভাপতি ফিলিপ মন্ডল, গদখালি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাংগাঠনিক সম্পাদক বি এম তাজউদ্দীন, শিমুলিয়া ইউনিয়ন ইউপি সদস্য মোঃ হৈবত আলী, মফিজুর রহমান, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাঃ মৃনাল দত্ত, শিমুলিয়া ওর্য়াড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সুধীর মন্ডল, গদখা লী ইউনিয়ন ওর্য়াড যুবলীগ সভাপতি মাস্টার গোলাম মোস্ত ফা, গদখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মুন্সী আবুল হোসেন, মাগুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা সবুর খান, গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আশরাফুল আ লম, চৌগাছার সিংহঝুলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আশিক মল্লিক, ঝিকরগাছা সদর ইউনি য়নের ৯ নং ওর্য়াড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা শাহিন হোসেন, ইয়াসিন আলী, পৌর যুবলীগ নেতা মাসুদ হোসেন, চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হাসিবুল হাসান শান্ত, করতে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন, বাবুল, নয়ন, রয়েল প্রমুখ।
ঝিকরগাছায় খানা-খন্দের রাস্তা সংস্কারের টেন্ডার হলেও কার্যক্রম বন্ধ : চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী
আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১নং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের সামনে প্রায় পনে ১কিলোমিটার খানা-খন্দের রাস্তার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে আছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
রাস্তা সংস্কারের জন্য সরকারি প্রকল্পের টেন্ডার হলেও রাস্তা র উন্নয়ন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট জিম্মী হয়ে রাস্তার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তা নিয়ে বিপাকে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস।
একারণে ক্রমাগতই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় ঘটছে দূর্ঘটনা।
গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের সামনে খানা-খন্দের রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবী করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলা কাবাসী।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের সূত্রে জানা যায়, সাবেক মন্ত্রী রফিকুল ইসলামের সময় কলেজের সামনের রাস্তাটি ইটের সলিং করা হয়।
পরবর্তীতে সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের সময় রাস্তার কিছু অংশ কাপেটিং করা হয় এবং সাবেক এমপি এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনিরের সময় কলে জের পর্শ্ববতী এলাকায় কাপেটিংয়ের কার্যক্রম হয়েছে।
বর্তমান এমপি ডাঃ নাসির উদ্দিনের সময় রাস্তা সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প পাশ হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারণে রাস্তার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আবারও নতুন প্রকল্প পাশ হলে রাস্তাটির উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। তবে প্রায় ১০-১২ বছর যাবৎ কলেজের সামনের রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি।
বর্তমানে কলেজের সামনের রাস্তার কাপেটিং ও সলিংয়ের ইট উঠে গিয়ে খানা-খন্দে পরিনীত হয়েছে। কলেজটি পাব লিক পরিক্ষার (এইচএসসি) কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এবারের পরিক্ষা-২০২৩ এর সময় এক শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিতে এসে এই রোডে পড়ে গিয়ে আহত হয়।
পরবর্তীতে চিকিৎসক ডেকে এনে পরিক্ষার্থীকে প্রাথমিক টিকিৎসা দিয়ে তাকে পরিক্ষায় অংশগ্রহন করানো হয়।
প্রকৃতির নিয়মে অতি সামান্য বৃষ্টি হলেই কলেজের এই রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা চলাচল করতে পারে না।
চলাচল করতে গেলে রাস্তার খানা-খন্দের পড়ে যায় অন্যথায় রাস্তার থাকা ময়লা ও পঁচা পানিতে সবার কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
গঙ্গানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আমিন বলেন, টেন্ডার হয়েছিল কিন্তু কাজ হয়নি বলে, আবার রি-টেন্ডার দিয়েছে।
গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান সিরাজ বলেন, গঙ্গানন্দপুর বা ছুটিপুর বাজার থেকে মধুর বাড়ি পর্যন্ত আমাদের কলেজের সমানের পনে ১কিঃ মিঃ রাস্তাটি খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। শুনেছিলাম রাস্তাটির জন্য প্রকল্প হয়েছে।
আজও পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার হয়নি। আসলে রাস্তার যে কি প্রয়োজন সেটা বোঝানো খুবই কঠিন।
গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমার এই কলেজে ৪টি উপজেলার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে।
ক্রমাগতই সব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমি তাদের কথা চিন্তা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত ভাবে অবহতি করে ছিলাম।
কিন্তু অদ্যবধি কলেজের সামনের রাস্তাটি সংস্কার হয়নি। প্রকল্পের টেন্ডার হচ্ছে আবার সেই টেন্ডার বাদ হয়ে যাচ্ছে এভাবেই চলতে আছে। কবে নাগাদ এর সমাধান পাওয়া যাবে সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে অতিদ্রুত সমাধান হলে আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভা বকদের জন্য ভাল হতো।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু বলেন, গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজের সাম নের রাস্তাটির জন্য সরকারি একটি প্রকল্পে টেন্ডার হয়েছিল ও মনিরামপুরের ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছিল।
কিন্তু ঠিকাদার পুরাতন রেটের করণে দীর্ঘদিন কাজ না করায় ওটা বাতিল করে আবার নতুন টেন্ডারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।