রহমত আরিফ ঠাকুরগাঁও : গাছের প্রতিটি ডাল থেকে সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। মুকুলের সুগন্ধে পাখা মেলে এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছে মৌমাছিরা।

ঠাকুরগাঁওয়ের লিচুবাগানগুলোর দৃশ্য এখন এমনই।

ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছির আনাগোনায় খুলনা, রাজশাহী, সাত ক্ষীরা, নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে এসেছেন অর্ধশতাধিক মৌচাষি।

গাছের ফাঁকে ফাঁকে বসানো মৌবাক্স থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

এদিকে বাগান থেকেই সুস্বাদু মধু ক্রয় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা। চলতি মৌসুমে গাছের মুকুল ভালো হও য়ার আশায় মধু সংগ্রহে খুশি মৌচাষিরাও।

মধু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, ‘মধু চাষিরা এখানে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। আমরা বাজারে যে মধু কিনি, সেগুলোয় কেমিক্যাল বা ভেজাল থাকে। তবে এখানকার মধু খাঁটি।’

লিচুবাগানে মধু উৎপাদনের বিষয়ে  রাজশাহী মহনপুর জে লার মৌচাষি নাদির ইসলাম বলেন, ‘মৌমাছির ফুল থেকে আমরা মধু উৎপাদন করি। আমরা এখানে খুবই ভালো আ ছি। মানুষ এখান থেকে মধু কিনে নিয়ে যায়।

এখানকার মধু খুবই পরিচিত এবং খুবই ভালো। এতে কোনো ভেজাল নেই।(’০১৮৬৪৫৪০৮৪১ নাম্বার মধু চাসির)

পরাগায়নের কারণে লিচুর ভালো ফলনের বিষয়ে চাঁপা ইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মৌমাছি আসার কারণে আমাদের গাছের পরাগায়ন ও ফল ন ভালো হয়।

মৌচাষিরা যদি প্রতিবছর আসেন, তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। সেই সঙ্গে আবহাওয়া ভালো থাকলে আ মাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হবে। পাশাপাশি আমরা লাভবানও হব।’

গাছে মৌমাছির অবাধ বিচরণে পরাগায়নে ভালো ফলন পাওয়ার আশায়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন শাহ ভোরের ডাককে বলেন, ‘এ পরাগা য়নের মাধ্যমে আমাদের লিচুর ফলন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে,

তেমনি মধু উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে মধু চাষিও লাভবান হচ্ছেন।

আমরা আমাদের বিভাগ থেকে মৌচাষের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আমরা অনেক চাষিকেই প্রশিক্ষিত করেছি যাতে তারা যথাযথভাবে কাজ করতে পারে।’

উল্লেখ্য,জেলা সদরে বোম্বাই,১০৬.২ একর।কাঠালী ২৮.০৮ একর।গোলাপী ১৫০.৪২।মাদ্রাজী ৬.৫ একর  একর চাযনা ৩ঃ৩১ একর। সর্ব মোট জমির পরিমান ৩২২. ২০ একর জমিতে লিচুবাগান রয়েছে।

এ থেকে মৌচাষিদের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

 

One thought on “ঠাকুরগাঁওয়ে লিচুবাগানে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত চাষিরা”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *