স্টাপ রিপোটার; ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী উপজেলার মহেশ পুরে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম শস্য বীজ উৎপাদন খামার দত্তনগর কৃষি ফার্ম।মহেশপুর উপজেলার এশিয়ার বৃহত্তম দত্তনগরের বীজ উৎপাদন খামার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জর্জরিত।
ভূয়া বিল ভাউচার, হাইব্রিড বীজ প্রেরণে অনিয়ম, শ্রমিকের টাকা আত্মাসাৎ, নারী নির্যাতন সহ নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারের উপ পরিচালক জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে ।
তিনি শ্রমিকদের হাজিরা নিজের ইচ্ছা মতো ভূয়া মাস্টার রোলে তৈরি করেন এবং মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারের শ্রমিকরা।
এছাড়াও নানা দূর্নীতি অনিয় মের অভিযোগ নিয়ে এলাকার শ্রমিকসহ সাধারণ জনগন কৃষি মন্ত্রী, ঝিনাইদহ ৩আসনের সংসদ সদস্য, বি এ ডিসির চেয়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমি শন বরাবর অভিযোগ পত্র দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
জনশ্রুতি আছে এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন
কর্মকর্তা বলেন তিনি বি এডিসির চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গি য়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মোটা অংকের অর্থ চাঁদা আদায় করে থাকেন অনন্য উপ পরিচালক ও উপ- সহকারী কর্মক তাদের কাছ থেকে।
এসব অত্যাচার, অনিয়ম দূর্নীতির কথা কোন কর্মচারী কর্মকর্তা মূখ খোলেন না।
কেউ বললেও তাকে বদলি করাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য দূর্নীতিবাজ উপ-পরিচালক জাহিদুর রহমান গোকু লনগরবখামারে যোগদান করেই নিজেকে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে এহেন কর্মকান্ড দম্ভের সাথে শুরু করেন।
খামারের একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন উপ পরিচালক জাহিদুর রহমান খামরটিকে দূর্নীতি ভয়ের রাজ্য তৈরি করেছেন তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তাকে বদলী সহ বিভন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকেন ।
ঈদ কোরবানিতে বোনাসের টাকা ভুয়া মাস্টার রোল তৈরী করে লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটস্থ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খামারে বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান তারা শুধু মাত্র হাজিরা নিয়ে থাকেন আর পরে বড় স্যার নিজের ইচ্ছা মতো মাস্টাররোল তৈরি করেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মতর্রা শুধু মাত্র দায়িত্ব পালন করে থাকেন যা করার বড় স্যার নিজেই করে থাকেন ইচ্ছে মতো।
তথ্য অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এই দুর্নীতি পরায়ন জাহিদুর উপ- পরিচালকের আরো ভয়ংকর তথ্য তিনি পরকীয়ার চরম ভাবে আসক্ত সে কারণে নিজের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত সম্পর্কের অবনতি এসব বিষয়ে তার স্ত্রী প্রতিবাদ করলে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে থাকেন ।
নামে মাত্র উপ- সহকারী কর্মকর্তাদের কে দায়িত্ব দিলেও মুলত তিনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন ।
এবং তার মাধ্যমেই এসব অপকর্ম হয়ে থাকে বলে জনশ্রুতি আছে । শ্রমিকদের হাজিরা ব্যাংক একাউন্ট এবং চেকের মাধ্যমে দেয়ার জন্য অডিট আপত্তি আসে ।
কতৃপক্ষ সে মোতাবেক একটি পরিপত্র দেন কমিটি করে শ্রমিক হাজিরা চেকের মাধ্যমে দেয়ার জন্য।
সে আদেশকে তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছা মতো ভূয়া মাস্টার রোল তৈরী করে শ্রমিকদের হাজিরা প্রদান করেন।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভূয়া অজুহাতে শুধু মাত্র নিত্য কর্মীদের ব্যাং ক একাউন্ট করিয়ে এবং উপর মহলকে মোটা অংকের টাকা র বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন বলে খামার পাড়ায় গুঞ্জন আছে।
এ খামারে যোগদান করার পর থেকে ঢাকা শহরে কোটি টাকার ফ্লাট ও জায়গা জমি কিনেছে নিজের নামে ও বেনা মে। ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে শ্রমিকদের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এই খামারে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে নিজেস্ব বলাই তৈরী করে নিজের খেয়াল খুশিমতো খামারটিতে দূর্নীতির আকড়ায় পরিনত করেছেন বলেও গুনজন রয়েছে খামার পাড়ায়।
এসব কারণে এ খামারে যোগদানের কয়েক মাসের মাথায় বদলী করেন মেহেরপুর ডাল তৈল খামারে।
আবারও তিনি গোকুলনগর খামারে যোগদানের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন কিছু দিনের মধ্যেই মোটা অংকের টাকার বিনিম য়ে উপরী মহলকে ম্যানেজ করে আবারও যোগদান করেন গোকুল নগর খামারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপ পরিচালক জাহিদুর রহমানেরব সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আপনি খামারে আসেন খামারে একটু আধটু অনিয়ম হয়েই থাকে।
তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিত হয়েছে তা মিথ্যা । এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় বি এ ডিসির সদস্য পরিচা লক মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে তিনি বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
কথা হয় জিএম দেবদাস শাহার সাথে তিনি বলেন কিছু অসংগতির কারণে শ্রমিক হাজিরা চেকের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে না তবে শতভাগ হাজিরা চেকের মাধ্যমে দেওয়া হবে ।
এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহা পরিচা লক কৃষি মন্ত্রীর উপদেষ্টা হামিদুর রহমানের সাথে তিনি বলেন ব্যাংক চেকের মাধ্যমে এখনো ও দেওয়া হয় না তা আমার জানা ছিল না মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী মিটিং এ বিষয়টি উথাপন করে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
বীজ উৎপাদন খামারের উপ পরিচালক জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট